স্টাফ রিপোর্টার
মানিকগঞ্জ সদরে বিবাহিত এক নারীকে ইভটিজিংয়ের (উত্ত্যক্ত) অভিযোগে দেওয়ান আবুল বাসার (৩৩) নামের এক কথিত সাংবাদিকে আটক করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে সদর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। ইভটিজিংয়ের শিকার ওই নারী এক সন্তানের জননী। তিনি মানিকগঞ্জের একটি রেসরকারি ক্লিনিকে কাজ করেন। রাত ৯ টার দিকে ওই নারী বাদি হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেছেন।
পুলিশ পাহারায় মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দেওয়ান আবুল বাশার সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার বিনানুই এলাকার আইয়ুব আলী মাস্টারের ছেলে। তিনি মসজিদে ইমামতির পাশাপাশি সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মানুষজনকে হয়রানি করে আসছিলো।
পুলিশ জানান, দীর্ঘদিন ধরে বিবাহিত ওই নারীকে ইভটিজিং(উত্ত্যক্ত) করে আসছিল কথিত সাংবাদিক দেওয়ান আবুল বাশার। এঘটনায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর থানায় মৌখিক অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। অভিযোগের পর কয়েক দিন চুপচাপ থাকলেও সোমবার দুপুর দুই টার দিকে ওই নারীর বাড়িতে যায় । এর পর থানায় অভিযোগ দেওয়ার কারনে ওই নারীর পরিবারকে হুমকি-ধামকি দিয়ে ভয়ভিতি দেখায়। এসময় ওই নারী চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে দেওয়ান আবুল বাশারকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান,দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাঘাটে ইভটিজিং এবং কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল মসজিদের ইমাম দেওয়ান আবুল বাশার। গত ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্য্য়া বাড়ি ফেরার পথে মানিকগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের পাশে কু প্রস্তাব দেন দেওয়ান আবুল বাশার। কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে টানা হেচরা করেন। এসময় চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে দেওয়ান আবুল বাশার পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে জানালে,পরিবারের লোকজন থানা পুলিশকে জানান।
তিনি আরো বলেন গত জানুয়ারী মাসে তার ছোট বোনের বিয়ে হয়। ৬ মাস সংসার করার পর তার বোনকে স্বামীর সাথে ছাড়াখাড়া করে ওই বাশার। ওই বোন এখন নানীর বাড়িতে রয়েছে।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)আব্দুর রউফ সরকার জানান,খবর পেয়ে আহত অবস্থায় কথিত সাংবাদিককে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সোমবার রাত ৯ টার দিকে ওই নারী বাদি হয়ে মামলা করেছেন। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মঙ্গলবার কথিত সাংবাদিক বাশারকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।