আমরা যদি সঠিক জুতা ব্যবহার না করি তাহলে মেরুদণ্ড, কোমরের মাংসপেশি ও তরুনাস্থির ওপর চাপ তৈরি হয়। যার ফলে মেরুদণ্ড স্বাভাবিক গঠন থেকে সরে যেতে পারে, যাকে বলে সাবলাক্সেশন। আর মাংসপেশি ও তরুণাস্থির ওপর চাপ বাড়ার কারণে শক্ত হয়ে আমাদের স্বাভাবিক নড়াচড়া বাধাগ্রস্ত করতে পারে। ডিস্কের ওপর অতিরিক্ত চাপ দীর্ঘমেয়াদি হলে ডিস্কে ডি জেনারেশন হতে পারে, ছিঁড়ে যেতে পারে, এমনকি ডিস্কের ভেতরের তরল অংশ বের হয়ে পিএলআইডি সমস্যা তৈরি করতে পারে।

এই অবস্থা দীর্ঘমেয়াদি চলতে থাকলে আমরা বিভিন্ন ধরনের ব্যথায় আক্রান্ত হই। এর মধ্যে অন্যতম কোমরে ব্যথা, হাঁটু ব্যথা ও পিঠে ব্যথা।

কোমরে ও হাঁটু ব্যথা নিরাময়ের জুতা নির্বাচনে যে বিষয়ে খেয়াল রাখা দরকার :

♦ জুতার হিল যেন বেশি উঁচু না হয়। সবচেয়ে ভালো সমান তলাবিশিষ্ট নরম ও আরামদায়ক জুতা। যদি হিল জুতা পরতেই হয় তাহলে বিরতি দিয়ে পরা উত্তম।

♦ সঠিক গঠনের আরামদায়ক কেডস ব্যবহার দীর্ঘমেয়াদি কোমর ব্যথা ও হাঁটু ব্যথা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারে।

♦ দীর্ঘমেয়াদি পায়ের তালু জ্বালাপোড়া জাতীয় সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন তাঁদের ক্ষেত্রে আরামদায়ক নরম কেডস ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, জুতা যেন খুব টাইট ফিট না হয়।

♦ যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের ক্ষেত্রে নরম কুশনযুক্ত কেডস ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাদের ক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, জুতা যেন টাইট না হয়। একটু ঢিলেঢালা বা ফিট জুতা তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের জুতা ব্যবহারে ডায়াবেটিস ফুট রোগ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।

♦ শরীরের ওজন বেশি থাকলে কেডস ব্যবহারে অভ্যস্ত হতে হবে। শরীরের ওজন বেশি থাকলে হাঁটুর জয়েন্টে অস্টিও আর্থ্রাইটিস হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।

পরামর্শ দিয়েছেন

ডা. মো. আহাদ হোসেন

ব্যথা বিশেষজ্ঞ

বাংলাদেশ সেন্টার ফর রিহ্যাবিলিটেশন, কাঁটাবন, ঢাকা।