নীলফামারী জেলার ৩৭টি ফিলিং স্টেশনে নেই এক ফোটাও জ্বালানি তেল পেট্রোল, অকটেন। টানা তিন দিন ধরে চলা এমন সংকটে ফিলিং স্টেশনগুলোতে জ্বালানি না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে যানবাহনের চালক ও মালিকরা। 

সংকট নিরসনে রোববার (৮ মে) বিকেলে ফিলিং স্টেশন মালিকদের সাথে নিয়ে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে আলোচনায় বসে জেলা প্রশাসন। এতে অকটেন সরবরাহ করা হলেও এখনও সরবরাহ মেলেনি পেট্রোলের। তবে অকটেন সরবরাহ হলেও তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম বলছেন ফিলিং স্টেশন সংশ্লিষ্টরা। 

আর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বলছেন, সরবরাহ বাড়িয়ে দু’এক দিনের মধ্যেই এই সংকট নিরসন করা হবে। 

নীলফামারীর জেলার মোট ৩৭টি ফিলিং স্টেশনে জ¦জ্বালানি তেল পেট্রোল-অকটেন সরবরাহ করা হয় দিনাজপুরের পার্বতীপুর ডিপো থেকে। প্রায় একমাস যাবত চাহিদার তুলনায় ডিপোকর্তৃক অর্ধেক সরবরাহ করায় জেলার ফিলিং স্টেশন গুলোতে নামতে থাকে পেট্রোল-অকটেন’র মজুদ। 

এদিকে মজুদ শেষ হওয়ায় দু’দিন যাবত জেলায় তীব্র সংকট দেখা দেয় পেট্রোল-অকটেনের। ফলে ফিলিং স্টেশনের ট্যাংকি গুলো হয়ে পড়ে পেট্রোল-অকটেন শূন্য। 

টানা দু’দিন ধরে চলা এমন সংকটে ফিলিং স্টেশন গুলো থেকে জ¦জ্বালানি না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে যানবাহনের চালক ও মালিকরা। 

এদিকে  গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করে বাঘাবাড়ি ডিপোতে গাড়ি পাঠালেও সেখানে মিলছে না এক ফোটাও পেট্রোল কিংবা অকটেন।

এমন সংকট নিরসনে জেলার ফিলিং স্টেশন মালিকদের সাথে নিয়ে রোববার বিকেলে সরবরাহকারী তিন প্রতিষ্ঠান পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ওয়েল কোম্পানির সাথে বৈঠকে বসে জেলা প্রশাসন। বৈঠক শেষে জেলায় ফিলিং স্টেশন গুলোতে পেট্রোল সরবরাহ করা না হলেও সরবরাহ করা হয় অকটেন। 

তবে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হলেও সামান্য কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে ফিলিং স্টেশনসহ যানবাহন চালক ও মালিকদের মাঝে।  

নীলফামারী জেলা পেট্রোল পাম্প মালিক ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি আকতার হোসেন স্বপন জানান, বৈঠকের পর পরই বিভিন্ন ডিপো থেকে অকটেন ও পেট্রোল সরবরাহ করা হচ্ছে জেলায়। সরবরাহ স্বাভাবিক হলে সংকট নিরসন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ফিলিং স্টেশন মালিক সমিতির এই নেতা।