মৎস্য কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়।
সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মানিকগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ফৌজিয়া খান।
হরিরামপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের করা জিডি সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি উপজেলা চেয়ারম্যান পরিসংখ্যান বিভাগে গণনাকারী নিয়োগকে কেন্দ্র করে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং বদলিসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন। উপজেলা চেয়ারম্যানের নির্দেশে তার লোকজন তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতও করেন। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক থানায় জিডি করেন মৎস্য কর্মকর্তা। সাময়িক বরখাস্তের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, মৎস্য কর্মকর্তাকে হুমকি দেয়া ছাড়াও হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিভিন্ন কার্যক্রমে যারা সহযোগিতা করেন সব অফিসারকে এক এক করে ধরার হুমকি দেন উপজেলা চেয়ারম্যান। এরপর থেকে মৎস্য কর্মকর্তা কর্মস্থলে ভয়ে ও আতঙ্কে আছেন এবং ঘটনার সত্যতা রয়েছে মর্মে জেলা প্রশাসকও জানিয়েছেন।
এর ফলে উপজেলা পরিষদে কর্মরত কর্মচারীদের মাঝে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হতে পারে যা সার্বিকভাবে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম বাস্তবায়নে অচলাবস্থার সৃষ্টি এবং জনস্বার্থ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সুতরাং উপজেলা চেয়ারম্যানের এ পদে বহাল থেকে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা রাষ্ট্র বা পরিষদের স্বার্থের হানিকর। এ জন্যই সরকার জনস্বার্থে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। প্যানেল চেয়ারম্যান-১ কে উপজেলা পরিষদের কাজ পরিচালনার জন্য পরিষদের আর্থিক ক্ষমতা প্রদান করা হলো।
হরিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান এবং জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান সাইদুর রহমান জানান, মৎস্য কর্মকর্তা লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মসহ বিভিন্ন দুর্নীতির বিষয়ে উপজেলার একাধিক মৎস্য খামারি এবং মৎস্যজীবীরা তার কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন। এ বিষয় নিয়েই তার সঙ্গে কথা বলা হয়। মূল ঘটনা আড়াল করে নিজেকে রক্ষার কৌশলেই তিনি লাঞ্ছিত করা এবং প্রাণণাশের হুমকি দেয়ার ঘটনা সাজিয়েছেন।