ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) ‘দুর্নীতির ধারণা সূচক ২০১৯’ এ বাংলাদেশ এক ধাপ এগিয়েছে। তালিকার ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৬ তম। নিচের দিক থেকে উঠে আসা ১৪তম দেশ বাংলাদেশ। যা ২০১৮ এর তুলনায় এক ধাপ আগানো।
সূচকে ৮৭ স্কোর পেয়ে কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে তালিকার শীর্ষে রয়েছে ডেনমার্ক ও নিউজিল্যান্ড। ৮৬ স্কোর পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ফিনল্যান্ড এবং ৮৫ স্কোর নিয়ে যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ড। ৯ স্কোর পেয়ে গতবারের মতো এবারও তালিকার সর্বনিম্নে আছে সোমালিয়া। ১২ স্কোর পেয়ে তালিকায় নিচের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ সুদান এবং ১৩ স্কোর পেয়ে তৃতীয় সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে সিরিয়া।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে বার্লিনভিত্তিক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) কর্তৃক পরিচালিত ‘দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই) ২০১৯’ প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ বছর একই স্কোর পেয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে নিম্নক্রম থেকে একই অবস্থানে আরও রয়েছে অ্যাঙ্গোলা, গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস, ইরান, মোজাম্বিক ও নাইজেরিয়া।
দুর্নীতির সূচকের এ প্রতিবেদনটি তুলে ধরে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সূচকের ০-১০০ এর স্কেলে বাংলাদেশের স্কোর ২৬, যা সিপিআই ২০১৮-এর তুলনায় অপরিবর্তিত রয়েছে। সুতরাং আমাদের স্কোর বাড়েনি। আগের বছর স্কোর ছিল ২৬, এবারও তাই রয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্নীতির ব্যাপকতা ও গভীরতার কারণে বাংলাদেশ দুর্নীতিগ্রস্ত বা বাংলাদেশের অধিবাসীরা সবাই দুর্নীতি করে−এই ধরনের ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। যদিও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র্য দূরীকরণসহ সর্বোপরি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে কঠিনতম অন্তরায় দুর্নীতি, তবু দেশের আপামর জনগণ দুর্নীতিগ্রস্ত নয়। তারা দুর্নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ও ভুক্তভোগী মাত্র। ক্ষমতাবানদের দুর্নীতি ও তা প্রতিরোধে ব্যর্থতার কারণে পুরো দেশ বা জনগণকে কোনোভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত বলা যাবে না।’
অনুষ্ঠানে টিআইবির চেয়ারম্যান সুলতানা কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো করছে। কিন্তু এর সুফল ভালোভাবে দিতে পারছি কি না, সেটাই বড় প্রশ্ন। দুর্নীতি না থাকলে আরও উন্নতি হতো।’