বিয়ে সামাজিক এবং ধর্মীয় উভয় দিক থেকে সমান গুরুত্বপূর্ন।বলা হয়ে থাকে,নারী এবং পুরুষের মাঝে সবচেয়ে পবিত্র এবং শক্তিশালী বন্ধন হল বিয়ে। তবে,হাতের মেহেদির রঙ না শুকাতেই অনেক নারীই তার সংসার হারান,কেউ হারান তার জীবন কেউ বা তার স্বপ্ন।
বাংলাদেশ সহ উন্নয়নশীল দেশ গুলোতে বিবাহিত নারীদের প্রতি স্বামী এবং শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সীমাহীন অত্যাচার উদ্বেকজনক ভাবে বেড়ে গিয়েছে।বিয়ে,নিয়ে নারীর সারা জীবনের যে স্বপ্ন তা হারিয়ে যায় নিকষ কাল আঁধারের গল্পে।
“বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বুর্যোর” করা জাতীয় পর্যায়ের জরীপ অনুযায়ী,দেশের ৮৭ শতাংশ বিবাহিত মহিলারা,স্বামীর দ্বারা কোন না কোন সময় এবংকোন না কোন ধরণের নির্যাতনের শিকারহয়েছেন।এর মধ্যে রয়েছে শারীরিক,মানসিক,অর্থনৈতিক এবং যৌন নির্যাতন।স্বামীর নির্যাতনের পাশাপাশি রয়েছে স্বামীর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের দ্বারা নির্যাতনের তথ্য।বর্তমানে,আমাদের দেশে শিক্ষার হার বেড়েছে বাড়েনি মানবীয় গুণাবলীর মান।আমরা শিক্ষিত হয়েছি তবে সেটা কোন মতে পরীক্ষার পাসের মাধ্যমে।তবে,একজন মানুষ হয়ে উঠতে পারিনি এখনো। বিবাহিত নারীদের প্রতি মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র আমাদেরকে সে কথাই মনে করিয়ে দেয়।
যেহেতু,বিবাহিত নারীরা নানা ভাবে নির্যাতিত এবং প্রতারিত হচ্ছেন তাই বিগত দুই বছর ধরে বিবাহিত নারীদের সাথে নিয়মিত কথা বলার মাধ্যমে তাদের সমস্যা,কষ্ট,হতাশা,অপূর্ণতা বের করার চেষ্টা করেছি।
সেসাথে,তারা কিভাবে এই সমস্যা থেকে বের হতে পারে তার কিছু উপায় খোঁজার চেষ্টা করেছি।
ব্যক্তিগত ভাবে অন্তত ২৫ জন বিবাহিত নারীর সাথে কথোপকথনের মাধ্যমে নারী নির্যাতনের নানা ধরণ সম্পর্কে অবগত হয়েছি।তাদের অনুমতি সাপেক্ষে গুরুত্বপূর্ন ঘটনা গুলোর মধ্য থেকে কিছু ঘটনা ছদ্দ নাম ব্যবহার করে আলোকপাত করতে চাই।