চুইঝাল একটি লতা জাতীয় গাছ। চুইগাছ আম, মেহগনি, শিমুল, সুপারি ইত্যাদি অন্য গাছের সঙ্গে আশ্রয় নিয়ে বেড়ে ওঠে। তবে আম গাছে বেড়ে ওঠা চুই সবচেয়ে বেশি ভালো হয়। চুইলতা ৪০ থেকে ৫০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয় এবং পাতা ২ থেকে ৩ ইঞ্চি লম্বা হয়। এর পাতা দেখতে অনেকটা পান পাতার মতো। চুইয়ের বীজ ও লতা রোপণের এক থেকে দুই মাসের মধ্যে চুইয়ের লতা বেড়ে ওঠে। এর কাণ্ড ধূসর ও দেখতে সবুজ রঙ্গের। রান্নার কাজে চুইলতার শিকড়ই মূলত ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও এর কাণ্ড, পাতা, ফুল-ফল সবই ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। বলা যায়, পুরো গাছই ভেষজগুণ সম্পন্ন। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক চুই গাছের উপকারিতা- > কাশি, কফ, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ও রক্তস্বল্পতা দূর করে। > পাকস্থলি ও অন্ত্রের প্রদাহ সারাতে চুইঝাল অনেক উপকারী। > গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধান করে। > কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। > খাবারের রুচি বাড়াতে এবং ক্ষুধামন্দা দূর করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। > স্নায়ুবিক উত্তেজনা ও মানসিক অস্থিরতা প্রশমন করে। > ঘুমের ওষুধ হিসেবে কাজ করে। > শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে এবং শরীরের ব্যথা সারায়। > অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে করে। > প্রসূতি মায়ের শরীরের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। > মাত্র এক ইঞ্চি পরিমাণ চুইলতার সঙ্গে আদা পিষে খেলে সর্দির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। > দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে এটি হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। সুতরাং, নিঃসন্দেহে বলা যায় যে মরিচের বিকল্প হিসেবে চুইঝালের জনপ্রিয়তা বাড়লে দেশের হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। একইসঙ্গে ভেষজ গুণ থাকার কারণে অনেক রোগব্যাধির আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।