মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ ১৫ জানুয়ারী
রোহিঙ্গা নারীকে জন্মসনদ প্রদান করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দিঘুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. মতিয়ার রহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। মানিকগঞ্জ জেলা দায়রা জজ আদলতের বিচারক মমতাজ বেগম বুধবার দুপুরে তার জামিন মঞ্জুর না করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রোহিঙ্গা নারীকে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দিঘুলিয়া ইউনিয়নের বেংরোয়া গ্রামের আব্দুল হাইয়ের মেয়ে জান্নাত আক্তার, জন্ম তারিখ ১০ই জুন ২০০০, দেখিয়ে একটি নাগরিক সনদ ও জন্ম সনদ প্রদান করেন ইউপি চেয়ারমান মোঃ মতিউর রহমান। ভূয়া জন্ম সনদ দিয়ে রেজাউল করিম ওই রোহিঙ্গা নারীকে তার স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে ২০১৯ সালে ১৩ নভেম্বর মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের পাসপোর্ট করতে আসেন। ওই পাসপোর্ট আবেদন পত্রে সনাক্তকারী হিসেবে আইনজীবী মনোয়ার হোসাইনের স্বাক্ষর রয়েছে। পাসপোর্ট করতে আসা ওই নারীর কথাবার্তা সন্দেহ হলে মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সুপারিনটেন্ড মো. মনিরুজ্জামান তাৎক্ষনিক ভাবে রোহিঙ্গা সরনার্থীদের নিবন্ধিত সার্ভার ঘেটে দেখেন। তিনি প্রকৃত পক্ষে রোহিঙ্গা নারী। তার নাম আসমা। বাবা সিরাজুল হক। রোহিঙ্গা নিবন্ধিত নম্বর ১৪৩২০১৭১২১৩১৫৪৪১৫। তার জন্ম তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০০১। আসমা ২০১৭ সালের ১০ অক্টোবর চট্রগ্রামের টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিবন্ধিত হয়। পরে ওই নারী ও ভুয়া স্বামীসহ সদর থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়। ঘটনার দিন ১৩ নভেম্বর রাতেই মানিকগঞ্জ সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সুপারিনটেন্ড মো. মনিরজ্জিামান বাদী হয়ে জন্ম সনদ প্রদান করায় দিঘুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. মতিয়ার রহমান, ভূয়া স্বামী রেজউল করিম, পাসপোর্ট ফরমে স্থানীয় ব্যক্তি হিসেবে সত্যায়ন করার অপরাধে মানিকগঞ্জ জজ কোর্টের আইনজীবী মোঃ মনোয়ার হোসাইন ও ওই নারীকে আসামী করে মামলা করে। পুলিশ ওই মামলায় চেযারম্যান ছাড়া বাকী তিনজনকে গ্রেপ্ততার দেখিয়ে আদালতে সোর্পদ করেন।
এদিবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামরার হওয়ার পর দিঘুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. মতিয়ার রহমান হাইকোর্ট থেকে জামিনে নিয়ে আসেন। জামিন শেষ হয়ে যাবার পর বুধবার মানিকগঞ্জ জজ কোর্টে জামিনের আবেদন করেন। মানিকগঞ্জ জেলা দায়রা জজ আদলতের বিচারক মমতাজ বেগম বুধবার দুপুরে চেয়ারম্যান মোঃ মতিউর রহমানের জামিন মঞ্জুর না করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।