মুস্তাফিজুর রহমান পাভেল, ঘিওর (মানিকগঞ্জ), প্রতিনিধি| মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় কুদ্দুস মিয়া (৪৫) নামের এক আনসার ও ভিডিপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার সকালে উপজেলা পরিষদের সীমানাপ্রচীরের পাশ থেকে বস্তাবন্তি এই লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ দিকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শাহিনুর ইসলাম (২৬) নামের অপর এক আনসার ও ভিডিপি সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত আনসার কুদ্দুস মিয়া উপাজেলা পরিবার ও পরিকল্পনা কার্যালয়ের গুডাইনের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি জেলার দৌলতপুর উপজেলার হাতকোড়া গ্রামের মৃত বদর উদ্দিনের ছেলে।

আটক আনসার ও ভিডিপির শাহিনুর ইসলাম উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের নৈশপ্রহরী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর বাড়ি ঘিওরের পয়লা ইউনিয়নের বাইলজুরী গ্রামে।

জানা গেছে, আজ শনিবার সকাল ছয়টার উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের সামনে এবং উপজেলা পরিষদের সীমানাপ্রচীরের পাশে প্লাস্টিকের বস্তাবন্দি রক্তাক্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায় স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে সকাল সাতটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে। এরপর নিহত আনসার ও ভিডিপি সদস্য কুদ্দুস মিয়ার পরিচয় শনাক্ত করা হয়।

খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিবালয় সার্কেল) নূরজাহান লাবনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি তদন্ত করছেন। এ ছাড় জেলা পুলিশ ব্যুরে অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) এক দিল এবং র‌্যাব-৪-এর সিপিসি-৩ মানিকগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে তদন্তে আসেন। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা আনসার ও ভিডিপি কমান্ডার এফতেখারুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে আসেন। আটক আনসার সদস্য কিছু তথ্য দিয়েছেন। তবে তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।

ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক আনসার ও ভিডিপি সদস্য শাহিনুর ইসলাম হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অধিক তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।