মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে ভোজ্যতেল সয়াবিনের সংকট দেখা দিয়েছে। বাজারে কিছু কিছু দোকানে এক লিটার ও দুই লিটার বোতল বোতল থাকলেও ৫ লিটারের কোন বোতল নেই তবে খোলা তেল থাকলেও তার মূল্য বেশী। সপ্তাহখানেক ধরে ঘিওরের বিভিন্ন হাট বাজারে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে সয়াবিন তেলের সংকট চলছে। ডিলার এবং কোম্পানি থেকে তেল সরবরাহ কমিয়ে দেয়ায় এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা বাজার, বাসস্ট্যান্ড ও ঘিওর হাটের পাইকারী ও খুচরা দোকানদারদের কাছ থেকে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে বাড়তি দামের ভোগান্তিতে পড়া ক্রেতারা বলছেন, বাজারে পাঁচ লিটার বোতলের তেল নেই। এক ও দুই লিটার বোতলের তেলও কম পাওয়া যাচ্ছে। বোতলের গায়ে দেয়া মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্যে তেল বিক্রি করছে। ডিলার, পাইকার ও খুচরা বিক্রেতারা মিলে তেল মজুত করে ‘কৃত্রিম সংকট’ তৈরি করতে পারেন। এ ব্যাপারে প্রশাসনের নজরদারি প্রয়োজন বলে জানান তারা।
অন্য আরেকটি কোম্পানির ডিলার নিরঞ্জন বণিক জানান, কোনো কোনো খুচরা ব্যবসায়ী চাহিদার তুলনায় বেশি তেল নিয়েছেন। আবার ক্রেতারাও প্রয়োজনের তুলনায় বেশি তেল কিনছেন। এ জন্য বাজারে তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। ঘিওর বাজারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন খুচরা ব্যবসায়ী জানান, খোলা তেল থাকলেও গত শুক্রবার (৪ মার্চ) থেকে বোতলজাত তেল দেওয়া হচ্ছে না। খুচরা তেলেরও স্বল্পতা দেখা দিয়েছে।
পাইকারেরা মজুত করে তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন। বাজারে তেলের সংকট থাকায় ক্রেতাদের অনেকেরই চাহিদার চেয়ে কম তেল নিতে হচ্ছে। তবে বিক্রেতাদের অনেকে ক্রেতাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনের বেশি তেল কেনার অভিযোগ করেছেন।

এদিকে দফায় দফায় সয়াবিনের দাম বাড়ায় স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে নিত্যপণ্যটি। এতে অস্বস্তি ও অসন্তুষ্টিতে ভুগছেন স্বল্প আয়ের মানুষেরা।
বাজারে ভোজ্যতেলের সংকট নিয়ে ঘিওর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হামিদুর রহমান জানান, বাজারে ভোজ্যতেলের কিছুটা সংকটের অভিযোগ রয়েছে। ডিলার, পাইকার ও খুচরা বিক্রেতারা মিলে এ সংকট তৈরি করেছেন কি না, তা পর্যবেক্ষণে বাজার ও গুদামে অভিযান চালানো হবে। কেউ কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।