মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর খালেদা জিয়াকে প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা এবং তারেক জিয়াকে শিশু মুক্তিযোদ্ধা বলেছেন। সমস্ত প্রকার রাস্ট্রীয় প্রটোকল ভঙ্গ করে, বেগম খালেদা জিয়া পাকিস্তানি দূতাবাসে গিয়ে নিজ হাতে শোকবার্তা লিখেছেন এর চেয়ে লজ্জা কি হতে পারে।
শনিবার (৫ মার্চ) বিকেলে মানিকগঞ্জ শহীদ তপন-মিরাজ স্টেডিয়ামে মুক্তিযোদ্ধাদের মিলনমেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা যারা জীবনকে বাজি রেখে দেশকে স্বাধীন করেছি। আমাদের জীবনদ্বশায় এই দেশ আবার পরাজিত শক্তির হাতে চলে যাবে সেটা হতেই পারেনা। আমাগী নির্বাচনে মুক্তিযোদ্ধারা ব্যানগার্ড হয়ে কাজ করবে। যাতে এই সরকারকে ভবিষ্যতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা কায়েম করতে পারি। যত জায়গায় পাক-হানাদার বাহিনী সঙ্গে আমরা যুদ্ধ করেছি সেই স্মৃতি গুলো সংরক্ষণ করা হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধের সূতিকাগার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে আর্ন্তজাতিক মানের গড়ে তোলার কাজ চলছে এবং স্বাধীনতার প্রথম রাজধানী মুজিব নগরে স্মৃতি কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজও চলমান আছে।
মুক্তিযোদ্ধের মিলনমেলার আলোচনা সভার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ড. মোঃ এনামুল রহমান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাহজাহান খান, মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়, মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম, মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামসহ মুক্তিযোদ্ধা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। বীরমুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্য এবং রাজনৈতিক ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের সদস্যসহ প্রায় ৫ হাজার মানুষ উপস্থিত হয়েছেন এই মিলনমেলায়।