যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য বলেছে, পূর্ব ইউক্রেনে সেনা মোতায়েনের জন্য রাশিয়ার আদেশ হচ্ছে ‘আক্রমণের শুরু’। তবে মস্কো-সমর্থিত দুই বিচ্ছিন্নতাকামী অঞ্চল লুহানস্ক ও দোনেৎস্কের মাটিতে কোনো রুশ সেনা ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে কিনা তা নিয়ে মঙ্গলবার মধ্যরাত (বাংলাদেশ সময়) পর্যন্ত পরস্পররিবোধী খবর পাওয়া গেছে। রুশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে এ বিষয়ে ক্ষমতা দিয়ে প্রস্তাব পাস করেছে।

সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়ার পর দিন গতকাল পুতিন বলেন, ‘ইউক্রেনের নিরস্ত্রীকরণই হলো ‘একমাত্র সমাধান’।

তিনি আরো বলেন, ইউক্রেনের সঙ্গে মিনস্ক শান্তি চুক্তি আর নেই। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বাংলাদেশ সময় কাল গভীর রাতেই হোয়াইট হাউস থেকে বক্তব্য দেওয়ার কথা।

পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে।

এদিকে রাশিয়ার সঙ্গে সঙ্কট বাড়লে শরণার্থীদের ঢলের আশঙ্কার মধ্যে হাঙ্গেরি ইউক্রেনের সঙ্গে তার ১৩৭ কিলোমিটার সীমান্তে সেনা মোতায়েন করবে বলে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন। হাঙ্গেরির জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান পুতিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ। অভিবাসন বিষয়ে তার অবস্থান খুবই কঠোর।

হাঙ্গেরির প্রতিরক্ষামন্ত্রী টিবোর বেনকো বলেছেন, তাদের সশস্ত্র বাহিনী মানবিক কাজ করবে এবং কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠী যাতে ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে সীমান্ত বন্ধ করবে।

অন্যদিকে উভয়ের প্রতিবেশী রুমানিয়া বলেছে, ইউক্রেনের সংকট আরো খারাপ হলে তারা ৫ লাখ শরণার্থী নিতে পারে। সূত্র: এএফপি ও বিবিসি