কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে পাকস্থলীতে করে ইয়াবা নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে কুমিল্লায় ৯ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছে র‌্যাব। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের পেট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২৩ হাজার ৯৯০ পিস ইয়াবা। মঙ্গলবার বিকেলে র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লার কম্পানি অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, সোমবার রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা সদর উপজেলার আমতলী এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে ওই ৯ শিক্ষার্থীকে একটি বাস থেকে আটক করেন র‌্যাব সদস্যরা।

মেজর সাকিব জানান, আটককৃতদের প্রায় সকলেই কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থী। আটক হওয়া শিক্ষার্থীরা র‌্যাবের কাছে দাবি করেছে, পাচারকারী চক্র তাদেরকে মাদকের ফাঁদে ফেলে এ কাজে বাধ্য করেছে। তাদের পরিবার এ বিষয়ে কিছুই জানে না।

আটককৃতরা হলেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানার চরপাড়াতলা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো. তোফায়েল আহমেদ, একই গ্রামের মাজাহারুল ইসলামের ছেলে মো. আশিকুল ইসলাম, ময়মনসিংহের পাগলা থানার দত্তের বাজার গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে মো. মিনহাজুল ইসলাম রিফাত, একই থানার বাকশি (পাঠানবাড়ী) গ্রামের ফখরুদ্দিন পাঠানের ছেলে রিশাত পাঠান, নয়াবাড়ী গ্রামের মো. আসাদ মিয়ার ছেলে গোলাপ মিয়া, বাগশি গ্রামের রতন মিয়ার ছেলে মো. সেলিম মিয়া, পটুয়াখালীর সদর থানার পশুরবুনিয়া গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে মো. সোহেল মিয়া, নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানার পিজাহাতি গ্রামের কামরুল হাসানের ছেলে মো. মিতুল হাসান মাহফুজ ও গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার আমবাগ (কোনাবাড়ী) গ্রামের মৃত মাসুদ ইসলামের ছেলে মো. সিয়াম ইসলাম।

মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন বলেন, ‘সোমবার রাতে বাস থেকে আটকের পর স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে ওই ৯ শিক্ষার্থীর পেট এক্স-রে করলে তাদের প্রত্যেকের পেটে ইয়াবার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে বিশেষ পদ্ধতিতে ওই শিক্ষার্থীদের পেটের ভেতর থেকে ২৩ হাজার ৯৯০ পিস অক্ষত ইয়াবা এবং প্রায় ৪০০ পিস ভাঙা ইয়াবা বের করা হয়। আমরা চক্রটির সকল সদস্যকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। আটককৃত ওই তরুণদের বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ‘

মেজর সাকিব বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীদের থেকে জানা গেছে, ময়মনসিংহের তাদের এক বড় ভাই মাদক কারবারের সাথে জড়িত। ওই মাদক কারবারি প্রথমে শিক্ষার্থীদের গাঁজা ও ইয়াবা ফ্রিতে সরবরাহ করে তাদের ধীরে ধীরে মাদকাসক্ত করে ফেলে। পরে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার প্রলোভন এবং উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখানো হয় তাদের। এ ছাড়া মাদকাসক্ত হয়ে এই তরুণরা মাদকের টাকা সংগ্রহ করার জন্য ওই মাদক কারবারের দেওয়া প্রস্তাবে রাজি হয়ে এ কাজে জড়িয়ে পড়েছে। ‘