ভারতের উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ গোরক্ষপুর নগর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হচ্ছেন। এরই মধ্যে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে পাশে নিয়ে নিজের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তিনি।

হলফনামায় নিজের সম্পদের হিসাব দিয়েছেন আদিত্যনাথ। তিনি জানিয়েছেন, তার স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তির মোট মূল্য দেড় কোটি টাকার কিছু বেশি।

এর মধ্যে নগদ অর্থ, ছয়টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা অর্থ ছাড়াও গহনা, অস্ত্র এবং তাঁর ব্যবহার করা একটি মোবাইলের দামের হিসাবও দেওয়া হয়েছে।

যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, তাঁর হাতে নগদ টাকা রয়েছে এক লাখ। ছয়টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মধ্যে দিল্লির স্টেট ব্যাঙ্কের পার্লামেন্ট হাউসের শাখায় রয়েছে ২৫ লাখ ৯৯ হাজার ১৭১ টাকা। গোরক্ষপুরের পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের গোরক্ষনাথ শাখায় রয়েছে ৪ লাখ ৩২ হাজার ৭৫১ টাকা। স্টেট ব্যাঙ্কের লখনৌ বিধানসভা মার্গের শাখায় জমা আছে ৬৭ লাখ ৮৫ হাজার ৩৯৫ টাকা। গোরক্ষনাথের স্টেট ব্যাঙ্ক শাখায় রয়েছে সাত হাজার ৯০৮ টাকা।

দু’টি ফিক্সড ডিপোজিটও রয়েছে যোগীর। একটি সাড়ে আট লাখের কাছাকাছি এবং অন্যটি সাত লাখ টাকার কিছু বেশি। পোস্ট অফিসেও কিছু টাকা জমা আছে তার।  

পার্লামেন্ট হাউসের পোস্ট অফিসে ন্যাশনাল সেভিংস প্রকল্পে রয়েছে ৩৬ লাখ টাকার কিছু বেশি। গোরক্ষপুরের গোরক্ষনাথ মন্দির পোস্ট অফিসে দুই লাখ ৩৩ হাজার টাকা জমেছে কিষাণ বিকাশপত্র প্রকল্পে।

২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভায় মনোনীত হওয়ার আগেও নিজের সম্পত্তির হিসাব দিতে হয়েছিল যোগীকে। তাতে প্রায় ৯৬ লাখ টাকার স্থাবর সম্পত্তি দেখিয়েছিলেন তিনি। তার মধ্যে দু’টি বড় এসইউভি গাড়িও ছিল। একটির মূল্য ১৩ লাখ টাকার কিছু বেশি অন্যটির দাম প্রায় আট লাখ টাকার কাছাকাছি। কিন্তু ২০২২ সালের নির্বাচনে যোগীর দেওয়া সম্পত্তির হিসেবে বলা হয়েছে, তার নিজস্ব কোনো গাড়ি নেই।

তবে প্রায় দুই লাখ টাকা মূল্যের আগ্নেয়াস্ত্র আছে যোগীর। এর মধ্যে একটি রিভলবারের দাম এক লাখ টাকা। ৮০ হাজার টাকা দামের একটি রাইফেলও আছে তার।

গহনা বলতে ১০ গ্রাম সোনার চেইন; যার দাম ২৬ হাজার টাকা এবং ২০ গ্রাম ওজনের দু’টি কানের দুল। সেগুলোর বাজার দর ৪৯ হাজার টাকা। টুইটার এবং ফেসবুকে সক্রিয় যোগী একটি স্মার্টফোনও ব্যবহার করেন। ওই স্মার্টফোনটির দাম অবশ্য মাত্র ১২ হাজার টাকা।

কোনো কৃষিজমি নেই যোগীর। গত তিন আর্থিক বর্ষে ক্রমান্বয়ে তার বার্ষিক উপার্জন কমেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে যোগীর মোট আয় ছিল ১৮ লাখের বেশি। পরের বছর তা নেমে আসে সাড়ে ১৫ লাখে।  

২০২০-২১ আর্থিক বর্ষে যোগীর মোট আয় ১৩ লাখ ২০ হাজার ৬৫৩ টাকা। তবে আয় কমলেও যোগী সম্পূর্ণ ঋণমুক্ত। তাঁর হলফনামা বলছে, কোথাও কোনো দেনা রাখেননি তিনি।
সূত্র: আনন্দবাজার।