মানিকগঞ্জের সিংগাইরে অজ্ঞাত নারীর হত্যা রহস্য উনমোচন ও সেই সঙ্গে হত্যায় জড়িত স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে সিংগাইর থানা পুলিশ।
গত ১৪ জানুয়ারী দুপুর দেড়টার দিকে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের ওয়াইজনগর চকবাড়ী বিলের মধ্য থেকে অজ্ঞাত এক নারীর (৩০) গলা কাঁটা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ । পরে থানায় অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
লাশের সঙ্গে থাকা একটি রশিদের সূত্র ধরে তদন্তে নামে পুলিশ। এরপর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে নারায়নগঞ্জের সোনারগাও থেকে লাশ উদ্ধারের ১৩দিন পর হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দ্বেহে মাসুদ (৩৮) ও তার স্ত্রী রেখা আক্তারকে (৩১) গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মাসুদ মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার তেঘুরিয়া গ্রামের শেখ সিদ্দিকের পুত্র। বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারী) পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের ঘটনা স্বীকার করে।
আসামিদ্ব জানায়, নিহত ওই নারীর সঙ্গে মিরপুরে ভাড়া বাসায় সাবলেট থাকাবস্তায় তাদের পরিচয়। সে একাই ঢাকায় থাকতো। এ সুযোগে তার স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে তাকে প্রথমে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর ধারালো ছুরি দিয়া জবাই করা হয়। পরবর্তীতে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে মৃতদেহ বস্তাবন্দি করে ঘটনাস্থলে ফেলে দেয়া হয়। এছাড়াও তাদের কাছে থেকে জানা যায় নিহত ওই নারীর নাম মারজিয়া আক্তার ওরফে আইরিন (৩০) এবং সিংগাইর উপজেলার চারিগ্রাম ইউনিয়নের মালিপাড়ার মৃত মোশারফ হোসেনের মেয়ে ।
নিহত মারজিয়ার বড় বোন লিপি আক্তার (৪০) জানান, মারজিয়া আক্তার প্রায় ৬-৭ বছর পূর্বে তার স্বামীকে ডিভোর্স দেয়। নিঃসন্তান মারজিয়া এরপর ডেল্টাল হাসপাতালে কাজ শিখার উদ্দেশ্যে ঢাকায় বসবাস করতে থাকেন। ঘটনার পর থেকে বোনের কোন খোজ খবর না পেয়ে অবশেষে পুলিশের নিকট থেকে তার পোশাক ও ছবি দেখে মারজিয়ার লাশ শনাক্ত করি। আমি আমার বোনের হত্যাকারীর ফঁাসি চাই।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই হালিম বলেন, হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকুটি উদ্ধার করা হযেছে। এছাড়া এ হত্যায় আরও অন্য কোন ক্লু আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।