কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। উজানের ঢলে পানি বেড়ে জেলার তিন উপজেলার প্রায় অর্ধশত ছোট-বড় চরের নিচু এলাকা ও নদীতীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
বেশ কিছু ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। আশপাশের উঁচু এলাকায় আশ্রয় নিতে শুরু করেছে বন্যার্তরা।
এদিকে, বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ায় কয়েক শ হেক্টর জমির আমন ও সবজি ক্ষেত তলিয়ে গেছে। উলিপুরের থেতরাই এলাকায় চর থেকে গরুর জন্য ঘাস নিয়ে ফেরার সময় স্রোতের টানে ভেসে গেছেন বদিউজ্জামান নামের এক কৃষক।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রাজারহাটের সরিষাবাড়িতে পানির তোড়ে একটি কাঠের সেতু ভেসে গেছে। ডুবে গেছে গ্রামীণ সড়ক। চর এলাকায় বেশ কিছু ঘরবাড়ি প্রবল স্রোতে ভেসে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে পাঁচটি পয়েন্টে দেখা দিয়েছে তীব্র নদীভাঙন। পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডেও নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ইতোমধ্যে তিস্তা অববাহিকার কিছু নিচু এলাকায় পানি উঠেছে, তবে উজানে বৃষ্টিপাত কমলে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে আসবে।’