মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ ২২ সেপ্টেম্বর
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে একটি মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে নয় বছরের এতিম ছাত্রকে বলাৎকার করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে পালিয়ে যাওয়ার সহযোগিতা ও ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার কারণে ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষসহ তিন শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে ঘটনার পর থেকে পালিয়ে রয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষক রমজান আলী।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-উপজেলার চান্দহুর ইউনিয়নের আলীনগর-ওয়াইজনগর মুহাম্মদিয়া মাদ্রাসা ও এতিম খানার অধ্যক্ষ মুফতি সাইফুল ইসলাম, শিক্ষক মুফতি আব্দুল আউয়াল ও ক্বারী সাইফুল ইসলাম।
সিংগাইর থানার অফিসার ইনজার্চ (ওসি ) সফিকুল ইসলাম মোল্ল্যা জানান, মাদ্রাসার ওই শিক্ষার্থীকে (৯) প্রায়ই যৌনহেনস্থা করতো শিক্ষক মোঃ রমজান আলী। গত ১১ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসার ভেতরে আবারো তাকে বলাৎকার করা হয়। এ ঘটনা ফাঁস করে দেয় নির্যাতনের শিকার হওয়া ওই শিশুটি। স্থানীয়ভাবে মিমাংসার মাধ্যমে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেস্টা করে একটি মহল। ঘটনার পর পালিয়ে গেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক রমজান আলী। তার গ্রাামের বাড়ি পাবনার ভেড়ামারা উপজেলায়।
বিষয়টি জানার পর মঙ্গরবার রাতে (২১ সেপ্টেম্বর) ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হলে এর সত্যতা মিলে। রাতেই অধ্যক্ষকসহ তিন শিক্ষককে আটক করে থানায় আনা হয়। তারা অভিযুক্ত শিক্ষক রমজানকে পালাতে সহযোগিতা করেছেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেন।।
এঘটনায় শিশুটির দাদী বাদী হয়ে সিংগাইর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষকদের বুধবার মানিকগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে পাঠানো হয়। বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
বিপ্লব চক্রবর্তী