ধর্ষণ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ভুক্তভোগীর পক্ষে দেওয়ার কথা বলে বাদীর মেয়েকে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহজালাল মিয়ার বিরুদ্ধে। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন বিপক্ষে দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন বাদীপক্ষ।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে পুলিশের হয়রানি ও সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন ধর্ষণের শিকার হওয়া ভুক্তভোগী ওই মেয়ে।
এর আগে, ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগে আলামিনসহ আরও ৫ জনকে আসামি করে মানিকগঞ্জের শিবালয় থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী তরুণীর মা। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহজালাল মিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ওই মেয়ে বলেন, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন শিবালয় উপজেলার রাধাকান্তপুর এলাকার আলামিন জমাদ্দার। সম্পর্কের এক পর্যায়ে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন আলামিন। এরপর বাধ্য হয়ে আলামিনসহ আরও পাঁচজনকে আসামি করে শিবালয় থানায় মামলা করেন আমার মা।
ভুক্তভোগী আরও জানান, মামলার পরে তদন্তের বিষয়ে একাধিকবার তার বাড়িতে এসেছেন মামলার তদন্ত কর্মর্কতা এসআই শাহজালাল। এর একপর্যায়ে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন তাদের পক্ষে দেওয়ার কথা বলে তাকে অনৈতিক প্রস্তাব দেন। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তার কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মামলার প্রতিবেদন তাদের বিপক্ষে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিংগাইর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহজালাল মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, শিবালয় থানা থেকে তিনি সিংগাইর থানায় যোগদান করেছেন। তবে মেয়েটিকে কু-প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি মিথ্যা দাবি করেন তিনি। মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন বিপক্ষে যাওয়ার কারণে আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করছেন ওই মেয়ে।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) হাফিজুর রহমান বলেন, সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি জানতে পেরেছেন তিনি। তবে ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহজালালের বিষয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ এখনও পাইনি। অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়ে এসআই শাহজালাল জড়িত থাকলে তদন্ত সাপেক্ষ তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।