রপ্তানিমুখি শিল্প কারখানা আগামী ১ লা আগষ্ট থেকে খোলার সিদ্ধান্ত হওয়ায় দক্ষিন পশ্চিম অঞ্চলের ঈদ ফেরত যাত্রীরা কঠোর লকডাউনের উপেক্ষা করেই কর্মস্থলে ফেরার উদ্দেশ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছুটে চলছে। যেখানে পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌরুটে জরুরী সেবায় নিয়োজিত গাড়ী ছাড়া অন্য সকল যানবাহন ও যাত্রী পারাপার নিষিদ্ধ কিন্তু সেই ধরনের কোন চিত্র নেই ঘাট এলাকায়। 

শনিবার(৩১ জুলাই) সকাল ১০ টার দিকে পাটুরিয়া ৩ নাম্বার পন্টুনে রো রো ফেরি ভাষা শহীদ বরকত নামের ফেরি যোগে তিনটি পন্যবোঝাই ট্রাকসহ কয়েক শতাধিক যাত্রী নিয়ে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট থেকে আসে। সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করার কথা থাকলেও নেই কোন স্বাস্থ্য বিধির বালাই। কর্মস্থলে ফেরার জন্য যে যে ভাবে পারছে সে অনুযায়ী যাওয়ার চেষ্টা করছে, এক শত টাকার ভাড়ার বিপরিতে অতিরিক্ত আরো গুনতে হচ্ছে ১৪ শত টাকা আর যাদের টাকা কম তারা পাঁয়ে হেটেই রওনা দিচ্ছে চাকুরী বাঁচাতে কর্মস্থলে। 

চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা যাত্রী মনির হোসেন বলেন, অনেক কষ্ট করে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে দৌলতদিয়া ঘাটে আসছি, তার  পর এক প্রকার যুদ্ধ করে ফেরিতে উঠছি এবং এখন পাটুরিয়া ঘাটে এসে পৌঁছেছি। এ ঘাটে এসে আবার নতুন এক বিপদের মধ্যে পড়েছি কারণ এক শত টাকার ভাড়া ১৫ শত টাকা হয়েছে, কিন্তু কিছুই করার নাই যেহেতু যেতে হবে,  নয়-তো চাকুরী চলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আকলিমা নামের এক গার্মেন্টস কর্মী বলেন, আমি যাবো সাভারের ইপিজেড এলাকায়,গত রাতে অফিসের অ্যাডমিন থেকে ফোন দিয়েছে অফিস করতে, সঠিক সময়ে অফিসে যেতে না পারলে চাকুরী চলে যাবে এমন কথা বলায় এখন কষ্ট করেই গ্রামের বাড়ী থেকে রওনা হয়েছি। আমরা যে মানুষ এ বিষয়টি কারো ভিতরে নেই, তানা হলে এই ভাবে হুট করে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারে আপনেরাই বলেন তো।

পাটুরিয়া ঘাটে প্রাইভেটকারের চালক লুৎফর মিয়া বলেন, ঘাটে তেমন গাড়ী নাই সে জন্য এখন প্রচুর চাহিদা আর এ কারনেই  ভাড়াটা একটু বেশি নিচ্ছি, ভাড়া বেশি না নিলে তো লোকসান হয়ে যাবে তার কারণ রাস্তায় বিভিন্ন জায়গা মেনেস করে আমাদের চলতে হয়।পাটুরিয়া থেকে গাবতলী কত টাকা ভাড়া নিচ্ছেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি আরো বলেন, যেখানেই নামুক না কেন প্রতি যাত্রীর জন্য ভাড়া  ১৫ শত টাকা।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরিন নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কাযার্লয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌরুটে জরুরী সেবায় নিয়োজিত যানবাহন পারাপারের জন্য ৮ টি ফেরি নিয়োজিত আছে তবে আগামী কাল থেকে যেহেতু পোশাক কারখানা খোলা সে জন্য বেশ কিছু যাত্রীরা এক প্রকার জোড় করেই ফেরিতে উঠছে এবং নৌপথ পার হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। 

রাসেল