ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল টানা সপ্তম দিনের মতো বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ আজ রবিবার ভোরের হামলায় অন্তত ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এখন পর্যন্ত টানা সংঘর্ষে ফিলিস্তিনের ৫২ শিশু নিহত হয়েছে। ইসরায়েলেরও দুই শিশু মারা গেছে হামাসের রকেট হামলায়। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে একটি শিশুকে জীবিত উদ্ধারের রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন বেসামরিক উদ্ধারকর্মী মেদহাত হামদান।

খান ইউনিস থেকে আসা এই উদ্ধারকর্মী ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে হতাহতদের উদ্ধারে টানা ১১ ঘণ্টা কাজ করে যাচ্ছিলেন। শিশুটিকে উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে তিনি বলেন, ‘ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আমরা একটি ছোট্ট মেয়ের চিৎকার শুনতে পাচ্ছিলাম। সেখানে একটি মোবাইল বেজে চলছিল অবিরাম। আমরা সেই শব্দ অনুসরণ করে বুলডোজার ও হালকা সরঞ্জাম ব্যবহার করে কয়েক ঘণ্টা ধরে চেষ্টা চালিয়ে অবশেষে শিশুটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই’।

হামদানের কাছে সবচেয়ে দুঃসহ স্মৃতি হলো, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে তিনটি মৃত শিশুর লাশ বের করা। তিনি আরো বলেন, ‘এই কাজ করতে এসে যেন আমার ভেতর থেকে সব ডরভয় চলে গেছে। এখন আমি আর বিস্মিত হই না, কিন্তু আমরা যখন ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে শিশুদের লাশ বের করছি, তখন আবেগ আর বাঁধ মানে না। এক নারী তার দুই ছেলে, দুই মেয়েসহ নিহত হয়েছেন। এই শিশুরা কি রকেট ছুড়েছিল? তারা ঈদে আনন্দ করতে পারেনি, এটাই কি যথেষ্ট ছিল না? তারা শিশু। সবচেয়ে বড়টি চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত’।