মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ ১৪ মার্চ, বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পৃথিবীর কোনো রাষ্ট্রনায়ক দেশের জনগণকে ছেড়ে যাননি। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় শেখ মুজিবুর রহমান আত্মগোপন করে পাকিস্থানিদের সঙ্গে চলে গিয়েছিলেন। এটাই হলো আওয়ামী লীগ। এ কারণে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সঙ্গে শেখ হাসিনার পরিবারের কোনো ভূমিকা নেই। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বে দিয়েছেন তাজউদ্দিন কিন্তু আজ শেখ হাসিনার রোষানলে পড়ে তাজউদ্দিন পরিবারের কেউ টিকতে পারেনি। শেখ হাসিনার এই ১২ বছরে দেশে বিচার বহির্ভুত অসংখ্য হত্যা, খুন, গুম হয়েছে। তিনি দেশের একজন নারী প্রধানমন্ত্রী অথচ তার সময়ে দেশের অসংখ্য নারী নির্যাতন হয়েছে। শেখ হাসিনা মূর্খের স্বর্গে বাসবাস করছেন, তিনি মিথ্যা ইতিহাস বলে বেড়াচ্ছেন। শেখ হাসিনা বিএনপিকে ভয় পায় বলেই সভা সমাবেশ সেমিনার বন্ধ করে দিয়েছে। শেখ হাসিনার সময় বিরোধী দল কাজ করতে পারবে এটা ভাবার কোন কারণ নেই। মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলনের মধ্য দিয়ে অবৈধ সরকারের পতন ঘটানোর শপথ নিতে হবে।
বোরবার দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট জামিলুর রশিদ খানের সভাপতিত্বে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আফরোজা খান রিতা, প্রকৌশলী মঈনুল ইসলাম শান্ত, সহ সাংগঠনিক শহিদুল ইসলাম বাবলু, আব্দুস সালাম আজাদ, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এসএ কবির জিন্নাহ, আব্দুল হামিদ ডাবলু প্রমূখ।
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, শেখ হাসিনার সময়ে দেশের খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়েছে। জ্বালানীর দাম বেড়েছে, দেশের শিক্ষাব্যবস্থার অবনতি হয়েছে। দেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। আজ দেশের মানুষ মন খুলে কথা বলতে পারে না, দেশের গণমাধ্যমে বির্তক করা যাবে না। তবুও আমাদের বলতে হবে শেখ হাসিনা গণতান্ত্রিক। দেশের সাধারণ মানুষ অনাহারে অর্থাহাবে কাতরাচ্ছে তবুও বলতে হবে শেখ হাসিনার সরকার ভালো। আর এসব না বললে পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে। রাতের আধারে ধরে নিয়ে গুম করে দেবে। শেখ হাসিনার বাবার সময়ে একজন বিখ্যাত ছড়াকার বলেছিলেন, বলা যাবে না, সওয়া যাবে না. কওয়া যাবে না কথা, রক্ত দিয়ে পেলাম এমন স্বাধীনতা। আজকে তাই আপনি কথা বলতে পারবেন না, প্রতিবাদ করতে পারবেন না। আর প্রতিবাদ করলেই আপনার অবস্থা হবে মোশতাকের মতো।
দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলরদের ভোটে জেলা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন আফরোজা খান রিতা ও সাধারণ সম্পাদক এসএ কবির জিন্নাহ।
বিপ্লব চক্রবর্তী