মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ২০ জানুয়ারী
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ১৮ দিন আগে মা হওয়া এক প্রসূতির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শ্বশুর বাড়ির লোকজনের দাবি ডলি আক্তার (২১) নামে ওই প্রসূতি ১৮ দিনের ছেলে সন্তান রেখে গলায় ফাঁসি নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে নিহত ডলির পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে তার স্বামী ঘিওর উপজেলা যুবলীগের শিক্ষা ও পাঠাগার সম্পাদক মহির উদ্দিন (৪০)। বুধবার সকালে ঘিওর উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের হিজুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ মৃত্যুর কারন নিশ্চিত করতে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। ডলি আক্তার উপজেলার হিজুলিয়া গ্রামের হযরত আলীর বড় মেয়ে।
নিহতের বড় ভাই মোঃ সানি মিয়া বলেন-দুই বছর আগে তার বোনের সাথে একই গ্রামের আবুল প্রধানের ছেলে উপজেলা যুবলীগের শিক্ষা ও পাঠাগার সম্পাদক মহির উদ্দিনের বিয়ে হয়। বোনের চেয়ে তার বয়স বেশি হওয়ায় প্রথমে পরিবারের লোকজন তার সাথে বিয়ে দিতে রাজি ছিলো না। পরে নানা চাপের মুখে তার সাথে বোনকে বিয়ে দিতে বাধ্য হন তারা। কিন্তু সে মাদকাসক্ত হওয়ায় প্রায়ই তার বোনকে মারধরসহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। বোনের সন্তান প্রসব করে তাদের বাড়িতে গেলে সেখানে গিয়েও এক সপ্তাহ আগে বোনকে মারধর করে মহির উদ্দিন। এর প্রতিবাদ করলে তার সাথেও হাতাহাতি হয়। পরে স্বামীর সাথে বোন শ্বশুড় বাড়িতে চলে যায়।
বুধবার সকালে খবর পেয়ে মহির উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে তিনি তার বোনের লাশ বাড়ির ওঠানে পড়ে থাকতে দেখেন। এসময় মহির উদ্দিনের মা ও ভাবি জানান সে আত্মহত্যা করেছে।
সানির অভিযোগ, দুই বছর ধরে নির্যাতন করলেও তার বোন সব সহ্য করেছে। আর এখন ১৮ দিনের ছেলে সন্তান রেখে আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব জানান, গৃহবধূর আত্মহত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। নিহতের শ্বশুড় বাড়ির লোকজন জানিয়েছে, মেয়েটি সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে গলায় ওড়না পেছিয়ে ঘরের মধ্যে আত্মহত্যা করেছে।প রে নবজাতকের কান্নার শব্দ পেয়ে ঘরের ভেতর গিয়ে তারা মায়ের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়।পরে তাকে ফাঁসি থেকে নামিয়ে আনেন স্বজনরা। সকালে নিহতের স্বামী ঘিওর বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে রেব হলেও তিনি ফেরত আসেননি। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলেই মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে বলে জানান ওসি।

বিপ্লব চক্রবর্তী