ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি। মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলায় ২৫টি অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাথা গোঁজার ঠাই নির্মান শেষের পথে। ঘিওর উপজেলার মাইলাগী এলাকায় পুরাতন ধলেশ^রী নদীর পার ঘেষে, সারিবদ্ধ হয়ে এক একটি অসহায় দরিদ্র মানুষের স্বপ্ন বুনে যাচ্ছে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ঘড়গুলি।
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আইরিন আক্তার জানান, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ২০২০-২১ অর্থবছরে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীন ‘ক’ শ্রেণীর “ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য গৃহ (দুই কক্ষবিশিষ্ট সেমি পাকা) নির্মাণ” কার্যক্রমের আওতায় ঘিওর উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ২৫টি গৃহহীন পরিবারের জন্য বরাদ্দ পাওয়া যায়। ‘আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার ২৫ টি অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাথা গোঁজার ঠাই হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ঘিওর উপজেলার মাইলাগী এলাকায় সরকারি খাস জমিতে পরিবার প্রতি ২ শতাংশ করে উপকারভোগীদের বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়। জমিটি অপেক্ষাকৃত নিচু হওয়ায় বিআইডব্লিওটিএ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রথম পর্যায়ে “অভ্যন্তরীণ নৌ পথের ৫৩ টি রুটে ক্যাপিটাল ড্রেজিং” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এর নদী খনন কার্যক্রমের খননকৃত মাটি দিয়ে সরকারি জমিটি ভরাট করে ঘর তৈরির উপযোগী করা হয়।
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসেই গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একযোগে সারাদেশে প্রথম পর্যায়ে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য নির্মিত ঘর উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন। “মুজিব বর্ষে একজনও গৃহহীন থাকবে না” মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণা বাস্তবায়নে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে ঘরের কাজ। ইটের তৈরি দেয়ালের উপর লাল টিনের ছাউনিগুলো যেন এক একটি স্বপ্ন এঁকে যাচ্ছে। মাইলাগী এলাকার সেই ঘরগুলোকে দেখলে মনে হয় স্বপ্নের সারথিরা নীল আকাশের নিচে সারিবদ্ধ হয়ে এক একটি অসহায় দরিদ্র মানুষের স্বপ্ন বুনে যাচ্ছে।