স্টাফ রিপোর্টার ৫ অক্টোবর।
আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে মানিকগঞ্জ প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতিমূলক সভার আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার সকাল ১১ টায় মানিকগঞ্জ সার্কিট হাউজে প্রস্তুতি মূলক সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস। জেলা প্রশাসক সভায় উপস্থিত সকলকে অবগত করেন, করোনাকালিন সময়ে এবার পুজা উদযাপন পরিষদের সাথে আলোচনা করে সরকার স্বাস্থ্য বিধি মেনে পুজা উদযাপনের জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছেন। প্রস্তুতিমুলক সভায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও প্রতিটি উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিম, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, এএসপি হেডকোয়াটার হুসাইন মোহাম্মদ, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব সাহা, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুদেব সাহা, জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান লক্ষ্মী চ্যাটার্জি, প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম ছায়োরার ছানু, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব চক্রবর্তী, অ্যাডভোকেট অসীম কুমার বিশ্বাস, জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অর্নিবান পাল প্রমূখ।
সভায় জানানো হয় বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে দুর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিমা তৈরি করে পূজা সমাপ্তি পর্যন্ত প্রতিটি মণ্ডপে নিজস্ব উদ্যোগে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। মন্দির বা পূজা মণ্ডপে আগত দর্শনার্থীদের জীবাণুমুক্ত করার প্রয়োজনী ব্যবস্থা রাখতে হবে। দর্শনার্থী, ভক্ত ও পুরোহিত সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হবে এবং সকল দর্শনার্থীকে কমপক্ষে তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। পূজা মন্দির/মণ্ডপে নারী ও পুরুষের আলাদা যাতায়াত ব্যবস্থা রাখতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে পালনের জন্য কার্ড/ব্যান্ডধারী অধিক সংখ্যক নিজস্ব নারী-পুরুষের স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে। সন্দেহভাজন দর্শনার্থীদের দেহ তল্লাশির ব্যবস্থা রাখুন। নারী স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে নারী দর্শনার্থীদের দেহ তল্লাশির ব্যবস্থা রাখুন। আতশবাজি ও পটকার ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। মন্দির/মণ্ডপে সার্বিক নিরাপত্তা বিবেচনায় আর্থিক সঙ্গতি সাপেক্ষে সিসি ক্যামেরা সংযোগের ব্যবস্থা রাখতে হবে। ভক্তিমূলক সংগীত ছাড়া অন্য সংগীত বাজানো থেকে বিরত থাকতে হবে। উচ্চ শব্দের কারণে জনসাধারণের মধ্যে যাতে বিরক্তির উদ্রেক না হয় এজন্য মাইক/পিএ সেট ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। তবে পুজোর অংশ হিসেবে ঢাক-ঢোল-কাসা এ ধরনের বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার করা যাবে। কারো ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে এমন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে হবে। কোনও অবস্থাতেই জনসমাগমের কারণে সরকারের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি যাতে উপেক্ষিত না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। মণ্ডপ/মন্দির সংলগ্ন এলাকায় এবং বিসর্জন স্থলে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা এবং অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা রাখতে হবে। মন্দির/পূজা মণ্ডপ প্রয়োজনের অতিরিক্ত দীর্ঘ সময় অবস্থান না করার নিয়ম মেনে চলুন। সন্ধ্যার পর দর্শনার্থী প্রবেশে নিরুৎসাহিত করতে হবে। সকল প্রকার আলোকসজ্জা, সাজসজ্জা, মেলার আয়োজন, আরতি প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি পরিহার করতে হবে। পূজাকালীন প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে মন্দির/মণ্ডপ কেন্দ্রিক শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি গঠন করতে হবে। কোনও প্রকার গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে তাৎক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করতে হবে। রাত ৮টার মধ্যে প্রতীমা বির্সজন দিতে হবে।