স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকার সাভারে কিশোরী নীলা রায় হত্যাকাণ্ডের বিচার ও শাস্তির দাবিতে মানিকগঞ্জে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল। বুধবার সকালে জেলা শহরে ভাষা শহীদ রফিক চত্বরে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচিতে জাতীয় অংশগ্রহন করে কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম, বিকশিত নারী নেটওয়ার্ক, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন), একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি, উদীচী, শিক্ষক সমিতি, গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এবং প্রগতি লেখক সংঘের প্রতিনিধিরা।
নীলা হত্যাকাণ্ডের বিচার, আসামিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে মানিকগঞ্জ শহরের ভাষা শহীদ রফিক চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। প্রায় দেড় ঘন্টাব্যাপি এই কর্মসূচিতে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের জেলা শাখার সভাপতি লক্ষ্মী চ্যাটার্জীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় নেতা আজহারুল ইসলাম, শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ ঊর্মিলা রায়, ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির জেলা শাখার সভাপতি দীপক কুমার ঘোষ, সুজনের জেলা শাখার সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন, শিক্ষক সমিতির জেলা শাখার সভাপতি মজিবুর রহমান, ক্ষেত-মজুর সমিতির জেলা শাখার সভাপতি আশরাফ সিদ্দিকী, মানিকগঞ্জ পৌর কাউন্সিলর সাবিহা হাবিব, বিকশিত নারী নেটওয়ার্কের জেলা শাখার সভাপতি তাজরানা ইয়াছমিন প্রমূখ।
বক্তরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নীলাকে উত্যক্ত করছিলেন সাভারের দক্ষিণপাড়া এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান (২০)। তবে ভয়ে পরিবারটি তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। মিজানের পরিবারকে জানালেও তাঁরা উল্টো মিজানের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলার প্রস্তাব দেন। গত রোববার রাত আটটার দিকে ভাইয়ের রিকশায় করে হাসপাতালে যাওয়ার পথে নীলাকে ছিনিয়ে নিয়ে বখাটে মিজানুর ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন। এ ঘটনায় সোমবার রাতে সাভার থানায় মিজানুর, তাঁর বাবা আবদুর রহমান ও মা নাজমুন্নাহার সিদ্দিকাসহ অজ্ঞাতনাম আরও চারজনকে আসমি করে মামলা করেন। এখনো পুলিশ মূল আসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। অবিলম্বে আসামীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে কঠোর শাস্তি দাবি করেন বক্তরা।