স্টাফ রিপোর্টার
সাটুরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা তরুণীকে হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় মাজিদুল করিম ধর্ষণ করেছে বলে তদন্ত কমিটি নিশ্চিত করে রিপোর্ট দিয়েছেন। ধর্ষণের সত্যতা বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মামুনুর রশিদ। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে বলে তদন্ত কমিটি জানান।
হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর জ¦র ও শারীরিক ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালের তিন তলায় নারী ওয়ার্ডে ভর্তি হয় ওই কিশোরী (১৬)। সে ধীরে ধীরে অনেকটাই সুস্থ্য হয়ে ওঠে। ১১ সেপ্টেম্বর রাতে ওই ওয়ার্ডে দায়িত্ব ছিলেন ওই ওয়ার্ড বয় মাজিদুল। ওই রাতে হাসপাতালের শষ্যায় ঘুমিয়ে পরেন তরুণীর মা। তরুণী জেগে ছিল। এসময় মাজিদুল ওই তরুণীকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যায় হাসপাতালের নিচ তলায়। সেখানে ওই মেয়েকে হাসপাতালের একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে মেয়েটি অচেতন হয়ে পরলে তাকে বারান্দায় ফেলে তিনি পালিয়ে যায়। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষণ হলে রাতেই তরুণীকে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে তরুণীর ভর্তি ও চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি ঘেঁটে দেখা যায়, ১২ সেপ্টেম্বর সকালে ১৬ বছরের তরুণীকে হাসপাতালের পাঁচতলার নারী ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ওই তরুণীর স্পর্শকাতর স্থানে সেলাই দেওয়া হয়েছে। ১৫ সেপ্টেম্বর মেয়েটিকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন।
এদিকে ঘটনাটি ফাঁস হওয়ার পর গত শনিবার ঘটনার তদন্ত করার জন্য কমিটি গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সাটুরিয়া হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ সাদিককে কমিটির প্রধান করে সাত সদস্যর কমিটি করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিয়ের নাটক সাজিয়ে ওয়ার্ড বয় মাজিদুলকে বাঁচানোর জন্য ৯দিন সময় পার করেছে গোপনে। কিন্তু স্থানীয়দের চাপে অবশেষে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এবিষয়ে সাটুরিয়া থানার ওসি মোঃ মতিয়ার মিঞা বলেন, মেয়েটি বা তার পরিবার থানায় কোন লিথিত অভিযোগ করেনি। মা ও মেয়েকে থানায় আনা হলে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি বলে জানায়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত রোববার ২০ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ড বয় মাজিদুল ৬ লক্ষ টাকা কাবিননামা করে মেয়েটির সাথে বিয়ে সম্পন্ন করেন। এ কারণে মেয়েটির পরিবার ধর্ষণের ঘটনাটি এখন অস্বীকার করছে।
সাটুরিয়া ্উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মামুনুর রশিদ বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ওয়ার্ড বয় মাজিদুল ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেছেন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।