দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলমুখী পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে যাত্রীবাহী বাস ও ছোট গাড়ির চাপ বাড়ছে । যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির সারি থেমে থেমে দীর্ঘ হচ্ছে। তবে যাত্রী ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব যানবাহন ফেরিতে করে পারাপার করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১৮টি এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ১৬টি লঞ্চ সচল রয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সক্রিয় আছেন, ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী যেন বহন করা না হয় এবং যাত্রীদের সুরক্ষা সরঞ্জাম যেন নিশ্চিত করা হয়— সেটা তারা তদারকি করছেন।’
পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় নৌরুট পারের অপেক্ষায় রয়েছে চার শতাধিক যানবাহন। তবে অপেক্ষায় থাকা যানবাহনের বেশিরভাগই পণ্যবাহী ও গরু বহনকারী খালি ট্রাক এবং ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন রাসেল জানান, ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। ভোর থেকেই ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির বেশ চাপ রয়েছে। থেমে থেমে দীর্ঘ হচ্ছে বাস ও ছোট গাড়ির সারি। তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নৌরুট পারাপার করা হচ্ছে এসব যানবাহন।
এছাড়া নৌরুট পারাপারের অপেক্ষায় দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাকের সারি রয়েছে। গরু বহনকারী খালি ট্রাক ছাড়া অন্যান্য ট্রাক পারাপার বন্ধ রয়েছে। ঘাট এলাকায় যানবাহনের চাপ কমে গেলে ওই সব ট্রাক পারাপার করা হবে।
ঈদে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ছোট বড় মিলে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। তবে পদ্মায় প্রচণ্ড স্রোতে ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় ভোগান্তি বাড়ছে বলেও জানান মহিউদ্দিন রাসেল।