স্টাফ রিপোর্টার, ১১ জুলাই।
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার কালা রংবাজকে দেখতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছে উৎসুক জনতা। শখের বসে নাম রেখেছেন কালা রংবাজ। এই কালা রংবাজের বয়স এখন ৩৩ মাস। কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে কালা রংবাজকে। মালিক এই করোনাকালে দাম হাকাচ্ছেন ১৫ লাখ টাকা। কালা রংবাজের সাথে ফ্রি রয়েছে একটি রাম ছাগল।
সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, ফুকুরহাটি ইউনিয়েনের কান্দাপাড়া গ্রামের মোঃ হারুন মিয়া কালা রংবাজকে প্রাকৃতিক খাবার দিয়ে লালন পালন করেছে। মোটাতাজাকরণে কোন প্রকার ঔষধ সেবন করানো হয়নি। এর শারীরিক গঠন অনুসারে আনুমানিক ওজন হবে ৩৫ থেকে ৪০ মন।
কালা রংবাজের মালিক মোঃ হারুন মিয়া জানান, গোলড়ার এক গরুর ব্যাপারীর নিকট থেকে সে ২ লাখ টাকা দিয়ে কালা রংবাজকে কিনেন। এরপর তাকে প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে লালন পালন করে তার স্ত্রী ফিরোজা বেগম। সে ৩৩ মাসে কালা রংবাজকে কলা, ভূষি, কাাঁচাঘাস,ডাল,ভূট্টা,খইল,শুকনো খড়, সুজি ও সাগু খাবার খাইয়ে ৪০ মণ ওজন বানিয়েছে। এবার কোরবানির ঈদে কালা রংবাজকে যে ক্রেতা কিনবে গরুর সাথে একটি ২৬ হাজার টাকার রাম ছাগল ফ্রি দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
মোঃ হারুন মিয়ার স্ত্রী ফিরোজা বেগম বলেন, প্রাকৃতিক পরিবেশে রংবাজকে আমি যত্ন করেছি। তাকে দিনে দুবার গোছল, সময়মতো খাবার দিয়েছি। ভ্যাপসা গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকলে সৌর বিদ্যুৎ দিয়ে বাতাসের ব্যবস্থা করেছি। তবে নামেই কালা রংবাজ, সে আসলে খুবই ঠান্ডা রংবাজ।
সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মনির হোসেন বলেন, সাটুরিয়া উপজেলায় এবার কোরবানির জন্য প্রায় ১০ হাজার কোরবানির পশু রয়েছে। এ উপজেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ৫ হাজার। তবে করোনাকালে খামারী ও কৃষকরা কোরবানির পশু বিক্রি নিয়ে দুচিন্তায় রয়েছে। তিনি বলেন, কারোনাকালে বড় বড় পশুগুলো হাটে না নিয়ে অনলাইনে বিক্রি করার জন্য পশুর মালিকদের অনুরোধ করেন। কালা রংবাজসহ বড় পশুগুলো সামাজিক যোগাযোগ ম্যাধ্যম ও ইউটিউবে প্রচার করার জন্য মালিকদের উৎসাহিত করেন।