মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ৫ জুলাই। মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের পদ্মানদী ভাঙন পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস। এ সময় নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের জেলা প্রশাসক বলেন, করোনার এ ক্রান্তিলগ্নে ভাঙন কবলিত এলাকার জনগণের জন্য টিন, নগদ অর্থ এবং জিআর চাল বরাদ্দ দেয়াও আছে। উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সুষ্ঠভাবে তা বিতরণ করা হবে। ৪ জুলাই শনিবার বিকালে উপজেলার ধুলশুড়া ইউনিয়নের পদ্মা নদী ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি।

ভাঙন পরিদর্শন কালে ধুলশুড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জায়েদ খান, জেলা প্রশাসক বরাবর তার ইউনিয়নে একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মানের জোর দাবী জানান। তিনি আরো জানান যে, ধুলশুড়া ইউনিয়নের দুই তৃতীয়াংশ ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অবশিষ্ট জনগনের ভিটে মাটি রক্ষার জন্য একটি স্থায়ী বাঁধের বিকল্প নেই।

এবিষয়ে জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস জানান, পদ্মানদী ভাঙনরোধে ধুলশুড়া ইউনিয়নে ৩০০ মিটারে ১৮,৯০০ জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে এবং আরো ১০০ মিটারে ৬,৩০০ বস্তা বরাদ্দ দেয়া আছে। এদিকে স্থানীয় সাংবাদিকেরা, সর্বমোট ৪০০ মিটারে ২৫,২০০ বস্তা ধুলশুড়া ইউনিয়ন নদী ভাঙন রোধে যথেষ্ট কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, শুধুমাত্র ধুলশুড়া ইউনিয়নই নয়, সমগ্র মানিকগঞ্জ জেলায় নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

এসময় জেলা প্রশাসকের সাথে নদী ভাঙন পরিদর্শন করেন হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন, হরিরামপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ বিল্লাল হোসেন, মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাঈন উদ্দিন, হরিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলজার হোসেন বাচ্চু, সাধারন সম্পাদক দেওয়ান আঃ রব, হরিরামপুর থানা ওসি (তদন্ত) মোঃ মোশারফ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জায়েদ খান প্রমুখ।