মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ ১ জুলাই
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক গৃহবধু মারা গেছেন। গৃহবধুর পরিবারের অভিযোগ পরিকল্পিত ভাবে পরিবারিক কলহের জের ধরে ওই গৃহবধুর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। নিহত ওই গৃহবধু হরিরামপুর উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের শঙ্কর গাঙ্গলীর স্ত্রী শক্তি গাঙ্গলী (৩০)। মঙ্গলবার রাতে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনিস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গৃহবধু শক্তি গাঙ্গলী মারা যান।
হরিরামপুর থানার পুলিশ ও গৃহবধূর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় আট বছর আগে শঙ্কর গাঙ্গুলীর সঙ্গে শক্তি গাঙ্গলীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই শাশুড়ি রমা গাঙ্গুলী ও ননদ গৌরী রায় নানা ভাবে শক্তিকে নির্যাতন করে আসছিলেন। গত মঙ্গলবার দুপুরে শক্তির শরীরে থাকা কাপড়ে আগুন ধরে যায়। তখন শক্তি ঘরে ছিলেন এবং বাড়িতে তাঁর শাশুড়ি, ননদ ও ছেলে ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। আগুন ধরার পর তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনা স্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জের মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনিত হলে তাকে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনিস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তিনি মারা যান।
শক্তির বড় বোন রীতা ভাদুরী বলেন, তার বোনের বিয়ের পড় থেকেই নানা বিষয়ে শাশুড়ি ও ননদ মিলে নির্যাতন করতো। মাঝে মধ্যে তাকে মারধর করা হতো। মঙ্গলবার তার বোনকে গায়ে কেরসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে গৃহবধু শক্তির স্বামী শঙ্কর গাঙ্গুলী বলেন, ঘটনার সময় তিনি ঢাকায় ছিলেন। কি ভাবে তাঁর স্ত্রীর শরীরে আগুন লেগেছে তা তিনি জানেন না। মা ও বোনসহ তাঁর বিরুদ্ধে শক্তিকে হত্যার অভিযোগ সম্পর্কে শঙ্কর গাঙ্গলী বলেন, মা ও বোনের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর মাঝে মধ্যে ঝগড়া হতো। এই কারণে তার স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারবে এটা বিশ্বাস হয় না।
হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুঈদ চৌধুরী বলেন, ঘটনা শুনার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনা স্থলে যাওয়া হয়েছিল। বুধবার নিহতের বোন রীতা ভাদুরী বাদি হয়ে মামলা করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।