দেশে নতুন করে ২ হাজার ৭৪৩ জনের দেহে নভেল করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ রোগের সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া এই রোগে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ।

রোববার করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ১৩ হাজার ১৩৬টি নমুনা পরীক্ষার ফল পাওয়া গেছে। এই পরীক্ষায় নতুন করে ২ হাজার ৭৪৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এতে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হলো ৬৫ হাজার ৭৬৯ জন।

ডা. নাসিমা জানান, রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ৪২ জনের। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৮৮৮ জনের মৃত্যু হলো। সর্বশেষ মৃতদের মধ্যে ৩৫ জন পুরুষ ও ৭ জন নারী।

সর্বশেষ মারা যাওয়া ৪২ জনের বয়স সংক্রান্ত তথ্য উল্লেখ করে তিনি জানান, এদের মধ্যে ৯১ থেকে ১০০ বছর বয়সী ১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী ৩ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী ১৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৯ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ৭ জন ও ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ১ রয়েছে।

এদিকে আগে থেকেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকা আরও ৫৭৮ জন রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন জানিয়ে ডা. নাসিমা বলেন, এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া ১৩ হাজার ৯০৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় এবং ১৮ মার্চ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর সিস্টেম সায়েন্সেস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (সিএসএসই) তথ্য অনুযায়ী, রোববার দুপুর পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৯ লাখ ১১ জন। এদের মধ্যে মারা গেছে ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৮৫৪ জন। আর ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৩০ লাখ ৮৮ হাজার ৪৩২ জন।