মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ  ২৭মে , মানিকগঞ্জে জেলা সদর হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনা উপসর্গ নিয়ে  দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তাঁরা মারা যান। এ নিয়ে জেলায় আইসোলেশনে ওয়ার্ডে সাতজনের মৃত্যু হলো। হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরশ্বাদ উল্লাহ আজ বুধবার সকালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

করোনা উপসর্গ নিয়ে দুইজনের একজন বৃদ্ধা (৬০)। তাঁর বাড়ি সাটুরিয়া উপজেলায়। আর কিশোরের (১৬) বাড়ি ঘিওর উপজেলায়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২১ মে) শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসেন ওই বৃদ্ধা। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের পর তাঁকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। পরের দিন বিকেলে (২২ মে) তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। এরই মধ্যে মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে তাঁর মৃত্যু হয়।

এ দিকে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ওই কিশোরকে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান স্বজনেরা। তার শ্বাসকষ্টসহ ব্যথাজনিত সমস্যা ছিল। চিকিৎসক তাঁকে পর্যবেক্ষনের পর আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। পরে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে সাভারে প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।

তবে আজ দুপুর পর্যন্ত তাঁদের নমুনা পরীক্ষার ফল পাওয়া যায়নি বলে জানান হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আরশ্বদা উল্লাহ। তিনি বলেন, ফলাফল না পাওয়ায় তাঁদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এই নিয়ে এ পর্যন্ত জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে সাতজনের মৃত্যু হলো। তাঁদের মধ্যে চারজন পুরুষ, দুইজন নারী ও একজন কিশোর।

এ দিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে স্থানীয় এক সংবাদকর্মীসহ আরও ছয়জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংথ্যা হলো ১২৮ জন।

সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ বলেন, নতুন আক্রান্ত ছয়জনের মধ্যে শিবালয় উপজেলায় স্থানীয় একজন সংবাদকর্মী, সদর উপজেলায় চারজন ও সিঙ্গাইরে একজন রয়েছেন।’

এ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৯৬৮ জনের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২৮ জন করোনায় আক্রান্ত হন। আক্রান্তদের মধ্যে ১৪ জন জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে এবং ৮৪ জন নিজ নিজ বাড়িতে আসোলেশনে আছেন। অন্যরা সুস্থ হয়েছেন।