করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সাধারণ ছুটিতে মানুষের অনেক অসুবিধা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সরকার ধীরে ধীরে কয়েকটি সেক্টর খুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে যাতে গরীব লোকরা জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন।

রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী তার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলের জন্য অনুদান গ্রহণের সময় দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা ধীরে ধীরে কিছু সেক্টর পুনরায় খুলে দেওয়ার চেষ্টা করছি। যাতে লোকেরা পবিত্র রমজানে কিছু জীবিকা অর্জন করতে পারে সেজন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। খবর ইউএনবির

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি মানুষের অনেক সমস্যা হচ্ছে। আমরা তাদের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।

এ সংকটকালে বিপুল ধান ঘরে তোলা কৃষকদের দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যেহেতু ধানের এ মৌসুমে প্রায় ফসল ঘরে তোলা হয়েছে, তাই মানুষের খুব বেশি অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

কোভিড-১৯ মহামারির কারণে দেশের অর্থনীতির অনেক ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যারা দৈনিক কাজের ওপর নির্ভরশীল তারা তাদের কাজ হারিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে অনেকেই বেকার হয়ে পড়েছে। যদিও আমরা সহায়তার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি, তারপরও তাদের পক্ষে জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

দেশের ৫৫টিরও বেশি সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কোভিড-১৯ এর কারণে ক্ষতিগ্রস্থ দরিদ্রদের সহায়তায় রোববার প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে অনুদান প্রদান করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এসব অনুদান গ্রহণ করেন।

সংগঠনের প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের কাছে অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন।

এসময় চীনের কমিউনিস্ট পার্টি তহবিলের জন্য ৫০ হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক সরবরাহ করে।