সূর্যরশ্মি, তাপ এবং আর্দ্রতার সংস্পর্শে এলে করোনাভাইরাস দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়ে বলে দাবি করেছেন একজন মার্কিন কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক গ্রীষ্মের মাসগুলোতে করোনা মহামারি কম সংক্রামক হতে পারে।

ইউএস হোমল্যান্ড সিকিউরিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান উইলিয়াম ব্রায়ান বলেছেন, মার্কিন সরকারের গবেষকরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, ভাইরাসটি বাড়ির অভ্যন্তরে এবং শুষ্ক পরিবেশে সবচেয়ে ভালভাবে বেঁচে থাকে এবং  তাপমাত্রা, আর্দ্রতা বৃদ্ধি ও প্রখর সূর্যের আলোয় এটা দুর্বল হয়ে পড়ে, ফলে সংক্রামক ক্ষমতা হারায়।

হোয়াইট হাউসের এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেছেন, ‘সরাসরি সূর্যের আলোতে ভাইরাস দ্রুত মারা যায়। তাদের এই গবেষণা আশা জাগাতে পারে যে করোনভাইরাসটি অন্যান্য শ্বাসকষ্টের ভাইরাসের মতো আচরণ করবে। যেমনটা ইনফ্লুয়েঞ্জার ক্ষেত্রে দেখা যায়। সাধারণত উষ্ণ আবহাওয়ায় এই ভাইরাসগুলো কম সংক্রামক।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ডের এক গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাস সেসব অঞ্চলেই বেশি ছড়িয়েছে, যেসব অঞ্চলে গড় তাপমাত্রা ৫ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবার এসব এলাকায় আর্দ্রতাও কম। ফলে এটা ধারণা করা যায় যে করোনা ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে তার পথ পরিবর্তন করবে বা উষ্ণ অঞ্চলে কম মাত্রায় ছড়াবে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনার বিষয়ে হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের এক অপ্রকাশিত গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, অপেক্ষাকৃত বেশি ঠান্ডার সময় মৃত্যুর হার বেশি হয়েছে। এটা অবশ্য কম্পিউটার মডেলিংয়ের ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে।

তবে উল্টো চিত্রও দেখা গেছে, সিঙ্গাপুরের মতো উষ্ণ-আবহাওয়ার জায়গায়ও মারাত্মক প্রমাণিত হয়েছে করোনাভাইরাস  এবং পরিবেশগত কারণগুলোর প্রভাব সম্পর্কে বিস্তৃত প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। ফলে ট্রাম্প সরকারের এই গবেষণা কতটা নির্ভরযোগ্য সেটা বলার সময় এখনো আসেনি। 

রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, অনুসন্ধানগুলো সতর্কতার সাথে ব্যাখ্যা করা উচিত, তবে এর আগেও যে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল যে গ্রীষ্মে করোনভাইরাসটি কমতে পারে তার সপক্ষে প্রমাণের দাবি করেছেন তিনি। ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি একবার উল্লেখ করেছি যে এটি উত্তাপ এবং আলোয় দূরে যায়। তবে এটার সঠিক প্রমাণ দরকার।

সূত্র- ফ্রেন্স২৪।