করোনাভাইরাস মহামারিতে দরিদ্র জনগোষ্ঠী ও কর্মহীনদের মধ্যে ত্রাণ কার্যক্রম তদারকি করতে ৬৪ জেলায় সরকারের ৬৪ জন সচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব পদের এই কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট জেলার সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে করোনাকালীন সময়ে সার্বিক বিষয়ে সমন্বয় করবেন।

সরকারের শীর্ষ এই কর্মকর্তারা কে কোন জেলায় ত্রাণ কার্যক্রম তদারকি করবেন তাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রত্যেক জেলার কার্যক্রম নিয়মিত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে অবহিত করতে বলে হয়েছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করা হয়।

দায়িত্বপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তারা সমন্বয়ের কাজে স্ব স্ব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ত করতে পারবেন। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা স্বাস্ব্য ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার কাজ তত্ত্বাবধায়ন ও পরিবীক্ষণ করবেন। জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিবীক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন করবেন। সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ বা অন্যান্য বিষয় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থাকে লিখিতভাবে জানাবেন।

জানা যায়, ত্রাণ হিসেবে বিতরণের জন্য সরকারি চাল লোপাট করতে গিয়ে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাসহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার পর সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যে ত্রাণ ও চাল আত্মসাতের অভিযোগে অনেক জনপ্রতিনিধি সাময়িকভাবে বরখাস্ত হয়েছেন। শিগগির তাদের মধ্যে অনেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত হবেন। ত্রাণ কার্যক্রম তদারকি করতে এর আগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম-সচিব ও উপসচিব পদমর্যাদার ৫৫ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।