জনমত ডেস্ক, ১৮ এপ্রিল। সৌরজগতের বাইরে গ্রহ খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন। প্রাণ ধারণের উপযোগী গ্রহ শনাক্ত করা আরও কঠিন। এমন কাজের জন্যই কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল। এর এত ক্ষমতা ছিল যে, সৌরজগতের বাইরের কোনো গ্রহের উপগ্রহও খুঁজে পেয়েছিল। আশার কথা, বিজ্ঞানীরা বলছেন কেপলার টেলিস্কোপটি কার্যক্ষমতা হারানোর আগেই আমাদের দূর মহাজগতে ভাসমান একটি ‘দ্বিতীয় পৃথিবী’র খোঁজ দিয়ে গেছে! গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এ ঘোষণা দিয়েছে।
নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, সৌরজগতের বাইরে থাকা কেপলার-১৬৪৯সি নামের এই গ্রহটি পৃথিবী থেকে তিনশ’ আলোকবর্ষ দূরে। বিজ্ঞানীরা জানান, কেপলার স্পেস টেলিস্কোপটি সৌরজগতের বাইরের হাজারো গ্রহের সন্ধান দিয়েছে। তবে কেপলার-১৬৪৯সি গ্রহটির সবচেয়ে বেশি মিল রয়েছে আমাদের এই পৃথিবীর সঙ্গে। গ্রহটি এর নক্ষত্রের যে প্রাণ ধারণের উপযোগী অঞ্চল রয়েছে সে সীমার মধ্যেই আছে। এর বুকে তরল পানিও থাকতে পারে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা। কেপলার-১৬৪৯সি গ্রহটি পৃথিবীর চেয়ে আকারে সামান্য বড়। পৃথিবীর সঙ্গে তুলনা করলে এটি নিজের নক্ষত্র থেকে অন্তত ৭৫ শতাংশ আলো পায়। এর মানে ওই গ্রহপৃষ্ঠের তাপামাত্রা পৃথিবীর কাছাকাছি, যা প্রাণ ধারণের উপযোগী বলেই আভাস দেয়!
২০১৮ সালেই কেপলার টেলিস্কোপটি জ্বালানি নিঃশেষ হয়ে যাওয়ায় চির ঘুমন্ত অবস্থায় চলে যায়। তবে এর আগে টেলিস্কোপটি যেসব ছবি পাঠিয়েছিল, সেগুলো বিশ্নেষণ করেই বিজ্ঞানীরা এ গ্রহের সন্ধান পান।
নাসার বিজ্ঞানী থমাস জার্বুসেন বলেন, ‘সৌরজগতের বাইরে ওই দূর বিশ্ব আরও বেশি যেন আশা জাগানিয়া। লাখ লাখ নক্ষত্রের ভিড়ে যেন কোনো দ্বিতীয় পৃথিবী ভেসে বেড়াচ্ছে। উৎস :সিনেটডটকম।