মো.শাহ আলম, দৌলতপুর ( মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি ১৫ এপ্রিল। সারাদেশে ব্রয়লার মুরগি ও লেয়ার মুরগির ডিম নিয়ে বিপাকে খামারী । ব্রয়লার মুরগির ও ডিমের দাম কমে যাওয়ায় মানবেতর জিবন যাপন করছে খামার মালিকরা। মুরগির জীবন বাচাঁতে সুসম খাবারের পরিবর্তে ভুট্টা খাওয়ায়ে জীবন বাচাঁনো হচ্ছে। আবার কারো কারো মুরগি খাবারের অভাবে না খেয়ে মারা যাচ্ছে। এই চিএ দেখা যায় মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের ব্যাবসায়ী আলমের ফার্মে গিয়ে। এ বিষয়ে পোল্ট্রি খামারী আলম বলেন, বড় আশা করে ঢাকা ছেরে গ্রামে এসে কিছু লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে ৭ হাজার মুরগির একটি খামার তৈরী করি এতে ২০ লক্ষ টাকা খরচ হয় । ফার্ম করার পর থেকেই মুরগির দাম নাই। একের পর এক লোকসান গুনতে হচ্ছে এবার ও ৬ হাজার মুরগি উঠাই বয়স ৪০ দিন করোনা ভাইরাসের কারনে আতঙ্কে ব্রয়লার মুরগি মানুষ খাওয়া ছেড়ে দেওয়ায় ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করতে না পাড়ায় ভুট্টা ভাঙ্গিয়ে কোন মত মুরগীগুলির জীবন বাঁচিয়ে রাখছি। এদিকে লেয়ার খামারী জসিম বলেন, ডিমের দাম কম থাকায় প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা লোকসান হচ্ছে এ ভাবে লোকসান হতে থাকলে আমাদের ঋনের বোঝা ঘাড়ে নিয়ে ব্যাবসা বাদ দিতে হবে। এ বিষয়ে পোল্ট্রি ডিলার মো.শাহ আলম বলেন, আমার ব্যাবসা থেকে প্রায় ১ শত পরিবারের কর্মসংস্থান হয়। কিন্তু গত তিন বছর যাবত ব্রয়লার ফার্মে একের পর দূর্যোগ এসে লক্ষ লক্ষ টাকা লোকসান হচ্ছে, খামারীদের এভাবে লোকসান হলে, এদের ঋণের বোঝা আমাদের গাড়ে এসে চাপে। আমরা কি করবো কিছু বুঝে উঠতে পারছিনা। এভাবে একের পর এক লোকসান হলে ঋনের বোঝা মাথায় নিয়ে ব্যাবসা ছেরে দিতে হবে।এতে সারাদেশে লক্ষ লক্ষ লোক বেকার হয়ে পড়বে। তাই এই শিল্প বাচাঁতে হলে প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। তাই বিষয়টি বিবেচনা করে দ্রুত এই শিল্পকে বাচাঁতে পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।