করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কক্সবাজার জেলাকে আজ থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লকডাউনের আওতায় থাকবেন এ জেলার বাসিন্দারা। এখন থেকে কেউ কক্সবাজারে প্রবেশ করতে ও কক্সবাজার থেকে বাহির হতে পারবেন না। এ আদেশ অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে রামু সেনানিবাস সূত্রে জানা গেছে।

তবে জরুরি পরিষেবা যেমন চিকিৎসা, খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ এই নির্দেশনার আওতামুক্ত থাকবে। অসামরিক প্রশাসন, সশস্ত্র বাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় করে দায়িত্ব পালন করবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে কক্সবাজার প্রবেশ ও কক্সবাজার থেকে বের হওয়া ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সেনাবাহিনী। ইতিমধ্যে কক্সবাজারের প্রধান সব প্রবেশ পথে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পাশাপাশি সেনা টহল জোরদার করা হয়েছে সকল উপজেলায়।

জরুরী সেবাদানকারী যানবাহন ব্যতীত সব ধরনের যানবাহনের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এমন নির্দেশনা বলবৎ থাকবে। আইন অমান্যকারীদের আর্থিক জরিমানা এমনকি প্রয়োজনে গ্রেপ্তার করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

একই রকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায়। সেনাবাহিনী এবং পুলিশের অতিরিক্ত চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে সীমিত করা হয়েছে সকল ধরনের যান চলাচল। অতি প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা, চিকিৎসা ও ত্রাণ সংক্রান্ত গাড়ি ব্যতীত কোনো ধরনের গাড়ি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রবেশ করতে দেওয়া বা বের হতে দেওয়া হচ্ছে না।

সেনাবাহিনীর রামু সেনানিবাস সূত্রে জানা গেছে, আরআরসি কমিশনের স্টিকার বা লিখিত অনুমোদন ব্যতীত দেশি-বিদেশি এনজিও বা ব্যক্তিদের ক্যাম্পে প্রবেশ/বাহির সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, কক্সবাজার জেলায় মোট ৫১৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছে ৪৫২ জন। জেলায় এ পর্যন্ত ৭৬ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে তাদের সবার রেজাল্ট নেগেটিভ।