মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা যেন সবার সঙ্গে সম্মানের সঙ্গে মানবিক আচরণ করেন- মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সারা দেশের ডিসিদের এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার এক এসিল্যান্ডের বিতর্কিত  কাজের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মৌখিকভাবে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে আজ শনিবার (২৮ মার্চ)  সকালে নিশ্চিত করেছেন মাঠ প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে এই ক্ষেত্রে কাউকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা যাবে না। এই বার্তাটি সব ডিসিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ইউএনও-ম্যাজিস্ট্রেটসহ মাঠ প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের কাছে তা পৌঁছে দেবেন।

সরকারি অফিস বন্ধ থাকলেও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বিশেষ ব্যবস্থাপনায় আজ শনিবার থেকে খোলা থাকছে। প্রতিদিন পাঁচজন করে কর্মকর্তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই সময়ে সারা দেশের মাঠ প্রশাসনের কার্যক্রম তদারকি করবেন। আজ তদারকির দায়িত্বে আছেন মন্ত্রিপরিষদের অতিরিক্ত সচিব আবু সালেহ মোস্তফা কামাল।

শনিবার সকালে মোস্তফা কামাল বলেন, কেউ যাতে সামাজিকভাবে অসম্মানের শিকার না হন সেভাবে দায়িত্ব পালনের বিষয়টি মাঠ প্রশাসনে গুরুত্বের সঙ্গে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে ইতিবাচক দৃষ্টিতে উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি আমরা।

এদিকে, আজ সকালেই বিতর্কিত এসিল্যান্ড সাইয়েমা হাসানকে যশোরের ডিসি কার্যালয়ে ফেরত নেওয়া হয়েছে। তিনি যশোরের মণিরামপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। যশোরের মনিরামপুরে মাস্ক না পরায় গতকাল শুক্রবার বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তিন বৃদ্ধকে কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখেন সাইয়েমা। কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখার ছবি মোবাইলে ধারণ করেন। পরে এ ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

অতি সম্প্রতি কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি ও তিনজন সহকারী কমিশনারের কাজেও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে প্রশাসনকে।