ক্রমশ ভয়ংকর আকার ধারণ করছে করোনাভাইরাস। সারা বিশ্বের মানুষের ঘুম কেড়ে নিয়েছে করোনা। এই মারণ ভাইরাস হানা দিয়েছে বাংলাদেশেও। কেড়ে নিয়েছে একজনের প্রাণ। আর আক্রান্ত করেছে ১৪ জনকে। এমন পরিস্থিতে গত মঙ্গলবার থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে সিনেমা হলও।
এদিকে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করার পর বিপুল সংখ্যক মানুষ ঢাকা
ছেড়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। ঘরমুখী মানুষরা বাস টার্মিনাল ও রেল স্টেশনে ভিড়
করেছেন। কমলাপুর, বিমানবন্দর ও ক্যান্টনমেন্ট রেল স্টেশনে বিপুল সংখ্যক
যাত্রী ভিড় করেছেন। এই ভিড় আরো দু-একদিন থাকতে পারে। কারণ আরো দু-একদিনের
মধ্যে ঢাকা ছাড়তে পারেন অসংখ্য মানুষ। তবে বাস ও ট্রেনে চাপ থাকলেও সদরঘাট
লঞ্চঘাটে গত দুই দিনে উল্লেখযোগ্য ভিড় দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ
অভ্যন্তরীণ নৌপথ পরিবহন কর্তৃপক্ষ।
যাত্রীদের এমন ভিড়কে কাজে লাগাচ্ছে বাস ব্যবসায়ীরা। অভিযোগ ওঠছে ভাড়া বেশি
রাখছেন তারা। কলেজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঘরমুখী এক শিক্ষার্থী বলেন, কাউন্টারে
অতিরিক্ত চাহিদা দেখে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫০ টাকা করে বেশি নিয়েছে প্রতি
টিকিটে। হানিফ পরিবহন বাড়তি দাম রাখার অভিযোগ নিয়ে জানায়, এমন হওয়ার কথা
না। অভিযোগের সত্যতা পেলে তারা কাউন্টারের কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
করোনা আতঙ্কে এখন ঢাকা প্রায় ফাঁকা। আগামী আরো এক বা দুদিন মানুষ ঢাকা ছাড়তে পারে বলে বাংলাদেশ বাস ট্রাক মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে। যাত্রীদের ভিড় নিয়ে বিমানবন্দর রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার জানান, উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে যাওয়া ট্রেনে তুলনামূলকভাবে বেশি ভিড় হচ্ছে।