মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ ১৭ মার্চ,

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে স্ত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে স্বামী ফয়সাল হোসানইনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে শ্বশুড় বাড়িতে ফাঁসিতে ঝুলে আত্বহত্যা করে গৃহবধূ নুরুন্নাহার বন্যা (২৭)। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। আটক ফয়সাল হোসাইন (৩২) উপজেলার বিরাজপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে। নিহত বন্যা মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের মাস্টার্সের ছাত্র্রী ছিলেন।

পুলিশ ও পরিবারিক সূত্র জানায়, জেলার ঘিওর উপজেলার শ্রীবাড়ী গ্রামের সামছুল হকের মেয়ে নুরুন্নাহার বন্যাকে প্রায় ১০ বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করেন ফয়সাল। তাদের ঘরে নওশীন(৬) ও ঐশি(৩) নামে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের কয়েক বছর পার হতেই তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে একাধিকবার পারিবারিকভাবে শালিস বৈঠকও হয়েছে। দাম্পত্য কলহের কারনে সোমবার রাতে শ্বশুড় বাড়ির নিজগৃহে ফয়সালের উপস্থিতিতে ফ্যানের সাথে ওড়না পেছিয়ে আত্মহত্যা করে বন্যা। ওই রাতে স্বামী ও শ্বাশুড়ি বন্যাকে শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

বন্যার বাবা সামছুল হক জানান, বিয়ের পর থেকেই তার মেয়েকে শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করতো ফয়সাল ও তার পরিবারের সদস্যরা। কয়েকদিন আগে বন্যা তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বাড়িতে চলে আসে। গত শুক্রবার মেয়েকে নিতে এসে সকলের সামনেই বন্যাকে মারধর করে ফয়সাল। পরে উভয়কে বুঝিয়ে শুনিয়ে স্বামীর সাথে শশুরবাড়িতে পাঠানো হয় বন্যাকে।

তিনি অভিযোগ করেন, ফয়সাল ও তার পরিবারের সদস্যদের অত্যাচার ও প্ররোচনাতেই তার মেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। একই ঘরে থাকলেও ফয়সাল তাকে রক্ষা করেনি।

শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদি হয়ে আত্মহত্যা প্ররেচনার অভিযোগে স্বামী ফয়সাল ও তার মা নাজমা বেগমকে আসামী করে মামলা করেছেন। স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।