স্টাফ রিপোর্টার
মানিকগঞ্জে ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ থাকা ২১ জনকে গতকাল ১৫ মার্চ রোববার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব এবং সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দ এ তথ্য জানান।
জেলা করোনা প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার থেকে বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের জেলায় হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা শুরু হয়। এরপর থেকে জেলায় হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। গত ২৪ ঘন্টায় জেলার ছয়টি উপজেলায় নতুন করে ২৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল রোববার দুপুর পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪৭ জনে। এর মধ্যে দৌলতপুর উপজেলায় ৭ জন, ঘিওরে ২০ জন শিবালয়ে ২১ জন, হরিরামপুরে ১০ জন, সিঙ্গাইরে ১৩ জন, সাটুরিয়ায় ৪০ জন এবং সদরে ১৩৬ জন হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। তবে এদের মধ্যে ২১ জনকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে বলা হয়। এই হিসেবে গতকাল বেলা ১২টা পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়ায় ২২৬ জনে।
হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা প্রবাসীরা ইতালি, সৌদিআরব, চিন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, কুয়েত, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও দুবাইসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ফিরেছেন। তবে এঁদের মধ্যে বেশির ভাগই সৌদি আরব থেকে আসা।
করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব আনোয়ারুল আমিন আখন্দ বলেন, হোম কোয়ারেন্টিনে ১৪ দিন থাকার পর তাঁদেরকে স্বাভাকি জীবনে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। তাঁদের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ও লক্ষণ পাওয়া যায়নি। এ জন্য তাদের হোম কোয়ারেন্টিন থেকে মুক্ত করা হয়েছে।
গত ৯ মার্চ থেকে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতালের পুরাতন ভবনের দোতলায় ১৭ শয্যাবিশিষ্ট আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে। একই দিন মানিকগঞ্জ পৌরসভার কেওরজানী এলাকায় আঞ্চলিক জনসংখ্যা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের নতুন ভবনে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট কোয়ারেন্টিন ইউনিট খোলা হয়। গতকাল রোববার দুপুর পর্যন্ত ওই দুটি ইউনিটে ভর্তি কাউকে পাওয়া যায়নি।