স্টাফ রিপোর্টার, মানিকগঞ্জ (১৫ মার্চ)

মানিকগঞ্জের শিবালয়ের অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে অপহরণ করে নারায়গঞ্জে নিয়ে ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবকের বিুরদ্ধে মামলা হয়েছে।

পুলিশ মামলা না নেয়ায়, আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে মানিকগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে এই মামললা করেন নির্যাতিতা ওই ছাত্রীর মা।

১৩ বছর বয়সী ওই মেয়ে জানায়, রবিাবর (৮ মার্চ) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে তাকে ভয় দেখিয়ে একটি সিনজি-চালিত অটোরিক্সায় উঠায় ওই এলাকার এক যুবক। ওই যুবকের সাথে একজন বয়স্ক মানুষ ছিল। যেখানে নিয়ে যায় সেখানেই চুপচাপ তাদের সাথে যেতে হবে। অন্যথায় মেরে ফেলার হুমকী দেয় তারা। প্রাণভয়ে সে তাদের সাথে বিভিন্নভাবে নায়াণগঞ্জের রুপগঞ্জে যায়। সেখানে একটি ওয়াল করা টিনিসেড ঘরে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করতে থাকে। গতকাল বুধবার (১১ মার্চ) বিকেল ৪টার দিকে ওই মেয়ে ওই এলাকার এক ব্যক্তির মোবাইল থেকে তার বাবার মোবাইল নম্বরে ফোন দিয়ে এসব ঘটনা খুলে বলে।

মেয়ের কাছ থেকে খবর পেয়ে মেয়ের বাবাসহ কয়েকজন সেখানে যেয়ে বুধবার রাতেই তাকে উদ্ধার এবং ওই ছেলেকে হাতে নাতে ধরে ফেলে। এরপর তাদের দুজনসহ তারা নিজ গ্রামে ফিরে আসে। মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তার শারীরীক পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানান হাসপাতালের স্টাফ নার্স জান্নাত আরা শিমুল।

ওই মেয়ের মা জানান, তার মেয়ে স্কুলে যাওয়ার পর বাড়ি ফিরে না আসায় তার পরিবারের লোকজন নিখোঁজের পর দিন সোমবার (৯ মার্চ) সকালে শিবালয় থানায় জিডি করতে যান। কিন্তু থানার পুলিশরা জিডি নেননি। গতকাল (১১ মার্চ) বিকেলে তার মেয়ে তাকে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনা খুলে জানানোর পর থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলা নেননি। বরং ধর্ষককে হাতে নাতে আটক করলেও অজ্ঞাত কারণে পুলিশ যেয়ে ওই ধর্ষককে তাদের কাছ থেকে নিয়ে ধর্ষকের পরিবারের কাছে তুলে দেন।

থানা পুলিশের কাছে আইনগত সহায়তা না পেয়ে তারা বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা করেছেন বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে শিবালয় থানার অফিসার-ইন-চার্জ মো. মিজানুর রহমান বলেন, ওই মেয়ে এবং ছেলে দুজনেই অপ্রাপ্তবয়স্ক। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এই কারণে নিজেদের ইচ্ছায় তারা দুজনে পালিয়ে গিয়েছিল। সেখানে চাকুরীর সন্ধানে একটি কারখানায় যায়। কারখানায় নিজেদের স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিলে কারখানা কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। পরে তাদের দুজনকে আটকে রেখে মেয়ের পরিবারকে খবর দিলে মেয়ের বাবাসহ কয়েকজনে সেখানে গিয়ে তাদের নিজবাড়িতে নিয়ে আসে। মেয়ের পরিবারের লোকজন ওই ছেলেকে মারধর করছে-এমন খবরের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে গিয়ে ঐ ছেলেকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে তুলে দেয়।থানায় জিডি ও মামলা না নেয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানতেন না।