মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ ২৭ ফেব্রুয়ারি
মানিকগঞ্জে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন। বুধবার আসামী হয়রত আলী বেপারীর (৩৫) অনুপস্থিতিতে এই রায় ঘোষনা করেন।
নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি একেএম নূরুল হুদা রুবেল জানান , মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ফাড়ীরচর গ্রামে নূরুল হকের ছেলে হয়রত আলী বেপারী (৩৫) সাথে ২০০০ সালে একই গ্রামের মামলার বাদি মোন্নাফ বেপারীর মেয়ে রোকসানা আক্তারের (২৫) বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কন্যা সন্তান জন্মের পর রোকসানাকে যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে আসে তার স্বামী হয়রত আলী বেপারী। ২০০৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর হয়রত আলী বেপারী রোকসানার বাবার বাড়িতে এসে যৌতুকের এক লক্ষ টাকা দাবি করে। যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় রোকসানার বাবা মোন্নাফ বেপারীর সাথে হয়রত আলী বেপারীর কথা কাটাকাটি হয় । ওই দিনই রোকসানা তার স্বামীর সাথে শ্বশুড় বাড়ি চলে যায়। ওই রাতেই স্বামী হয়রত আলী তার স্ত্রী রোকসানাকে হত্যা করে রাত ১১ টার দিকে লাশ বারান্দার আড়ার সাথে ঝুলানোর সময় লোকজন দেখে ফেলে।
পরে দিন ২৮ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জ সদর থানায় রোকসানার বাবা মোন্নাফ বেপারী বাদি হয়ে মেয়েকে হত্যার অভিযোগে মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০০৯ সালে ২ সেপ্টেম্বর হয়রত আলী বেপারীকে আসামী করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। আসামী হয়রত আলী বেপারী আদালত থেকে জামিন নিয়ে পালিয়ে যান। আদালতে মোট ৯ জনের সাক্ষী গ্রহন করা হয়। আসামী হয়রত আলী বেপারীর বিরুদ্ধে তার স্ত্রী রোকসানা আক্তারকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার মানিকগঞ্জ নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন আসামীকে ফাঁসির রজ্জুতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার রায় দেন।