মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ০৮ নভেম্বর।

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ৩য় শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় দেলোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।

একই সাথে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ বছরের কারাদন্ড প্রদান করাও হয়েছে।

বুধবার দুপুরে মানিকগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক বেগম তানিয়া কালাম আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।

নির্যাতনের শিকার ওই শিশুর বাড়ি মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায়। সে উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর শির্ক্ষাথী।

দন্ডিত ৪৪ বছরের দেলোয়ার হোসেন মানিকগঞ্জের সিংগাইরের পালপাড়া এলাকার হাতেম আলীর ছেলে।

এজহারপত্রে জানা যায়, আইসক্রীম কিনে দেয়ার জন্য ২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর দুপুরে ৩য় শ্রেণীর ওই শিশুকে স্থানীয় একটি বাজারে নিয়ে আসামী দেলোয়ার হোসেন। এরপর ওই শিশুকে জোরপূর্বক অপহরণ করে গাড়ীতে তুলে পালিয়ে যায় দেলোয়ার হোসেন ও তার সহযোগীরা। পরে এবিষয়ে ওই শিশুর মামা বাদি হয়ে দেলোয়ার হোসেনসহ ৫জনকে আসামী করে সিংগাইর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) আবুল কালাম আজাদ অভিযান চালিয়ে আসামীদের গ্রেফতার করেন এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে আসামীরা জামিনে থাকেন। এরপর দেলোয়ার হোসেন আদালতে জামিন চাইলে আদালত তাকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওই বছরের ১১ নভেম্বর দেলোয়ার হোসেনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্শিট দাখিল করেন। মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ৫জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আসামীকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।

রাস্ট্রপক্ষের আইনজীবী একেএম নুরুল হুদা রুবেল রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, মামলার রায়ের জরিমানা ৫০ হাজার টাকা নির্যাতিতা ওই শিশুর পরিবারকে দিতে বলা হয়েছে। জরিমানার টাকা পরিশোধ করা না হলে আসামীকে আরো ১ বছরের কারাদন্ড ভোগ করতে হবে।

তবে আসামীপক্ষের আইনজীবী একেএম আজিজুল হকের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।