আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো টাইম আউটের ঘটনা, স্বাভাবিকভাবে আলোচনা এ জন্য বেশি। আলোচনা হচ্ছে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের আউটের ধরন নিয়ে। শ্রীলঙ্কার ব্যাটারকে আউট না করে সতর্ক করা যেত কি না সেই প্রসঙ্গ আসছে বারবার। তবে সাকিব আল হাসান স্পষ্ট জানিয়েছেন, এ নিয়ে কোনো অনুতাপ নেই তার।
তিনি শুধু আউটের আবেদন জানিয়েছেন, বাকি সিদ্ধান্ত আম্পায়ারের।
সাকিবের করা আউটের আবেদনটি পছন্দ হয়নি বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোলান্ডের। ঘটনার পরদিন ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকব্লগ ডটনেটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই আউট নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন ডোনাল্ড।
দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক পেসার বলেছেন, ‘এটা (টাইমড আউট) দেখা হতাশাজনক ছিল।আমি সাকিবের সুযোগ নেওয়া ব্যাপারটা বুঝতে পারছি। তার বক্তব্য, জেতার জন্য সব কিছু করেছে। আমার গলা শুনেই বুঝতে পারছেন, ব্যাপারটা আমার পছন্দ হয়নি। এমন কিছু আমি পছন্দ করি না।
যা ঘটেছে তা দেখাটা সত্যিই খুব কঠিন ছিল। শ্রীলঙ্কার সর্বকালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় সময়ের কারণে কোনো বল না খেলেই আউট হয়ে মাঠ ছেড়ে চলে গেল।’
ক্রিকেটীয় আইনে স্পষ্ট বলা আছে, আগের ব্যাটার আউট হওয়ার সময় থেকে নতুন ব্যাটার ৩ মিনিটের মধ্যে পরবর্তী বল মোকাবেলা করতে হবে। অন্যথায় আউট হিসেবে গণ্য হবে। এবার বিশ্বকাপে সেটা নির্ধারণ করা হয়েছে দুই মিনিট।
ম্যাথুস তার বেশি সময় নিলেও তাকে এই নিয়মের মারপ্যাঁচে ফেলে আউটের করা ক্রিকেটীয় চেতনার সঙ্গে যায় না বলে মনে করেন ডোনাল্ড।
ডোনাল্ড বলেন, ‘এই খেলায় একে-অন্যের প্রতি সম্মান ও মর্যাদার কথা বলা হয়ে থাকে, ক্রিকেটের চেতনার কথা বলা হয়ে থাকে। আমি এমন জিনিস দেখতে চাই না। এটা স্রেফ আমার কথা। আমাদের খেলায় এমন কিছু আমি দেখতে চাই না যেখানে… হ্যাঁ, (ফিল্ডারদের) কেউ একজন চটপটে ছিল এবং (সাকিবকে) বলেছে আপিল করার জন্য। আমার তখন মনে হয়েছে, সত্যিই, এটা ঘটতে যাচ্ছে না। এটা হতে পারে না। এটা একেবারেই হতে পারে না!’
ঘটনায় নিজের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল সেটিও জানিয়েছেন ডোনাল্ড, ‘যখন এটা ঘটল, তখন আমার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ছিল এবং সেটা আমার সহজাত প্রবৃত্তির কারণেই, আমি সত্যিই যেন মাঠে ঢুকে গিয়ে বলি, ‘যথেষ্ট হয়েছে, আমরা এটার পক্ষে দাঁড়াব না। আমরা এই ধরনের দল নই যারা এর পক্ষ নেবে।’