স্টাফ রিপোর্টার

মানিকগঞ্জে স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপনের একটি অনুষ্ঠানে যাবার সময় অতর্কিত হামলার শিকার হয়েছেন জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজার ছোট ভাই যুবলীগ নেতা আল রাফি সহ আটজন। এ ঘটনায় আহত তিনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহদের মধ্যে আল রাফির মাথায় ৮টি সেলাই,মবিনের হাত,পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ১৭ টি সেলাই ও অনন্য নামের আরেক জনের ডান হাতের কবজী ভেঙ্গে গেছে।

সদর থানা পুলিশ ও আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার দুপরে মানিকগঞ্জ কর্ণেল মালেক মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেকের বৃক্ষরোপন কর্মসুচীর আয়োজন ছিল। এ অনুষ্ঠানে জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজার পক্ষে তার ছোট ভাই যুবলীগ নেতা আল-রাফির নেতৃত্বে জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য সামিউল আলীম রনি ও সুজন খন্দকারসহ ২০ থেকে ২৫ জন মোটর সাইকেল যোগে যাচ্ছিল। তাদের মোটর সাইকেলের বহর মানিকগঞ্জ বাসষ্ট্যান্ডের জয়রা এলাকায় ইসলামী ব্যাংক ও কমিউনিটি হাসপাতালের সামনে পৌছানোর মাত্র সিএনজি ও হেলোবাইকের লাইন ম্যান ইসমাইল ও উসমানের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ইসমাইল ও উসমানের সঙ্গে তাদের সহযোগী জকি,জাহাঙ্গীর,ওয়াসিম,মুন্না ও সবুজ একত্র হয়ে কাঠের বাটাম, লোহার পাইপ ও ধারালো অস্ক্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এই হামলায় আল-রাফি, মবিন,অনন্য,সামিউল আলিম রনি,সুজন খন্দকার,উজ্জল সওদাগর,মনির হোসেন আহত হয়।

জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য সামিউল আলিম রনি বলেন, আমরা মন্ত্রীর বৃক্ষরোপন কর্মসুচীর অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলাম। বাসষ্ট্যান্ডের জয়রা এলাকায় ইসলামী ব্যাংক ও কমিউনিটি হাসপাতালের সামনে পৌছানোর মাত্র সিএনজি ও হেলোবাইকের লাইন ম্যান ইসমাইল ও উসমানের সঙ্গে যানজট নিয়ে সামান্য তর্কবিতর্ক হয়। এ সময় তাদের পক্ষে কিছু যুবক লাঠি,চাপাতি ও লোহার রড নিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। যারা হামলা করেছে তারা পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও মানিকগঞ্জ জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি জাহিদুল ইসলামের অনুসারী।
পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও মানিকগঞ্জ জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, আমি খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে গিয়ে রাফি সহ আহতদের দেখে এসেছি। এই ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি। এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।