মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি।
রাজধানী ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও ঢাকায় পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, সারাদেশে ডেঙ্গু কিছুটা বাড়লেও ঢাকায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি স্থিতিশীল আছে। সারাদেশে হাসপাতাল গুলেতে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। এ ছাড়া প্রায় ৮২ হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। রোগীদের যথাযথ এবং প্রয়োজনী চিকিৎসাসেবা যাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।
আজ রোববার দুপুরে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন শেষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু আক্রান্ত প্রায় সাড়ে ৯ হাজার রোগী ভর্তি আছেন। প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ হাজার স্যালাইন প্রয়োজন হয়। দেশে স্যালাইন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উৎপাদন করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং তারা করছে। বর্তমানে সরকারি হাসপাতালে স্যালাইনের কোনো ঘাটতি নেই। আগামীতে যেন স্যালাইনের ঘাটতি না হয় এ জন্য দেশের বাইরে থেকে স্যালাইন আমদানির জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ডেঙ্গু রোগীদের জন্য হাসপাতালগুলোতে শয্যার সংকট হবে না জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ঢাকা শহরে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের জন্য প্রায় ৩ হাজার শয্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজারের বেশি রোগী ভর্তি আছেন। ঢাকার বাহিরে ৫ হাজার শয্যা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের আওতায় ছোট-বড় ২০ হাজার প্রতিষ্ঠান রয়েছে। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদদের স্মরণে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার বৃক্ষ রোপণ করা হবে। কারণ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবুজ-শ্যালম সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। এতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ হবে এবং স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিবেশ ভালো হবে। একই সাথে দেশে গাছের সংখ্যা বাড়বে, পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকবে।’
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইফুল্লাহিল আজম, কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. জাকির হোসেন, কর্নেল মালেক মেডিকেলের পরিচালক ডা. মো. আরশ্বাদ উল্লাহ, সিভিল সার্জন ডা. মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী প্রমুখ।