বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে উপকূলের দুই উপজেলা পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও বাগেরহাটের মোংলায় সোমবার (৯ মে) ভোররাত থেকে মুষলধারায় বৃষ্টি এখনো চলছে। সকাল আটটার পর এ বৃষ্টির ধারা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

হঠাৎ আকাশ মেঘে ঢেকে বৃষ্টি শুরু প্রচণ্ড তাপদাহে মানুষের মনে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এলেও, ঘূর্ণিঝড় অশনি আঘাত হানতে পারে এমন আশংকায় উদ্বিগ্ন উপকূলের মানুষ।

পায়রা সমুদ্র বন্দরে দুই নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত বহাল থাকায় নৌপথে তেমন কোন বাঁধা মানছে না গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে থাকা জেলেরা।

কলাপাড়া সিপিপি’র উপ পরিচালক আছাদ উজ্জামান বলেন, সংকেত বাড়লে তাদের কার্যক্রম শুরু হবে। তবে উপজেলায় ১৭০টি আশ্রয়কেন্দ্র ও মুজিব কিল্লা প্রস্তুত আছে।

জনপ্রতিনিধিরা জানান, আন্ধারমানিক, খাপড়াভাঙ্গা ও রাবনাবাদ নদী তীরবর্তী হাজার হাজার পরিবারের মধ্যে ঝড় আতংক বিরাজ করছে। কেননা কলাপাড়ার প্রায় আট কিলোমিটার বেড়িবাঁধ এখনো ভাঙ্গা অবস্থায় আছে।

এ ঝড় উপকুলে আঘাত হানলে  কিংবা জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা বাড়লে লালুয়া, ধানখালী, চম্পাপুর ও ধুলাসারের কয়েক হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশংকা করছেন তারা। 

এদিকে ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে রাত থেকে মোংলায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। সাথে বইছে ঝড়ো বাতাস।