মানিকগঞ্জে ঘিওরের চাঞ্চল্যকর স্ত্রী ও দুই কন্যা হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে ঘিওর থানার পুলিশ। ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে।
সোমবার দুপুরে জেলা পুলিশ এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন, হত্যাকারী প্রথমে মাথার পিছনে বাড়ির ফুল বাগানে লুকিয়ে রাখা দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত দা দিয়ে আঘাত করেন। এরপর বালিশ চাপা দেয়। সেই দা গলায় চালিয়ে তার স্ত্রী লাভলী আক্তার (৩৯), মেয়ে লাজলী আক্তার ছোয়া (১৬), মেয়ে ইহা মনি কথা (১২) দেরকে জবাই করে হত্যা নিশ্চিত করে।
এই বিষয়ে তাৎক্ষনিক খবর পেয়ে ঘিওর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করেন, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ গোলাম আজাদ খান পিপিএম-বার এবং শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরজাহান লাবনীর তদারকি ও দিকনির্দেশনায় ঘটনাস্থল হতে হত্যার কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র (ধারালো দা) সহ রক্তমাখা জামা কাপড় উদ্ধার পূর্বক জব্দ করেন। তাৎক্ষনিক ঘিওর থানা পুলিশ হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে আসাদুজ্জামান ওরফে রুবেল (৪২) কে গ্রেফতার করে।
মামলার ঘটনায় সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করাসহ মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল হতে মামলার ঘটনায় মৃত লাভলী আক্তার, মৃত লাজলী আক্তার ছোয়া ও মৃত ইহা মনি কথার ময়না তদন্ত প্রতিবেদন সংগ্রহ করা হয়।
তদন্তে জানা যায়, আসামী আসাদুজ্জামান ওরফে রুবেল (৪২) নানান ধরনের ঋনে জর্জরিত ছিলেন। স্ত্রী কন্যাদের নিয়ে সংসার চালানো ও ঋন পরিশোধের চিন্তায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ায় এই জঘন্য হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
ঘিওর থানা পুলিশ মামলার সমস্ত তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।